‘বাংলাদেশকে সাপোর্টের সময় আবেগ কাজ করেছিল, বিবেক নয়’

স্পোর্টস ডেস্ক, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:২৬ এএম


‘বাংলাদেশকে সাপোর্টের সময় আবেগ কাজ করেছিল, বিবেক নয়’
ছবি- সংগৃহীত

‘বেশ বেশ বেশ সাবাস বাংলাদেশ
যাও এগিয়ে আমার বাংলাদেশ
বেশ বেশ বেশ সাবাস বাংলাদেশ
যাও এগিয়ে আমার বাংলাদেশ’ —সোহেল আরমানের কথা ও ইবরার টিপুর সুরে আসিফ আকবরের বিখ্যাত একটা গানের লাইন। যে গানটি হোম অব ক্রিকেটে আবেগের এক নাম। বিশ্বমঞ্চে লাল-সবুজের অনেক সাফল্যের সাক্ষী এ গানটি। 

বিজ্ঞাপন

তবে, তবে, তবে... ক্রিকেট মঞ্চে সাকিব বাহিনীর নাকানিচুবানিতে অনায়াসে প্রয়াত পপসম্রাট আজম খানের ‘হায়রে হায় বাংলাদেশ…বাংলাদেশ…বাংলাদেশ’ গানটাও চালিয়ে দেওয়াই যায়।

অপেক্ষাকৃত দুর্বল হয়েও নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তান যখন বিশ্বকাপ মাতাচ্ছে, ঠিক তখনই বিপরীত চিত্র বাংলাদেশের। টানা চার ম্যাচে হেরে এখন পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।

বিজ্ঞাপন

হ্যাটট্রিক হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর আশা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল সাকিব বাহিনী। প্রত্যাশাও করেছিলেন টাইগার ভক্ত-সমর্থকরা। তবে বোলারদের দায়িত্বজ্ঞানহীন বোলিংয়ে তুলোধুনো ৩৮২ রানের পাহাড়সমান লক্ষ্য দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা। জবাবে খেলতে নেমে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বাংলাদেশের ব্যাটাররাও। ব্যাটিং বিপর্যয়ের একপর্যায়ে হারের জন্য শুধু প্রহর গুনছিলেন দেশের প্রায় ১৭ কোটি ভক্ত-সমর্থক।

লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের এমন পারফরম্যান্সে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন অনেকেই।

এদিকে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার এক নারীর একটি মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপ। সেখানে ওই নারীকে বলতে শোনা যায়, এ কাজ করার সময় তার আবেগ কাজ করেছে। বিবেক কাজ করেনি। আর বাংলাদেশের হারের পর ওই নারীর এ মন্তব্যের সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পেয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা।

বিজ্ঞাপন

চরম হতাশা থেকে এক টাইগার ভক্তের ভাষ্য, ক্রিকেটের নামে এই টর্চার বন্ধ করা হোক। বিশ্বকাপের একমাত্র অসুন্দর বিষয় বাংলাদেশ। অবিলম্বে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।

বিজ্ঞাপন

লাল-সবুজের আরেক সমর্থকের মন্তব্য, ভাগ্যিস! বাংলাদেশকে বাছাইপর্ব খেলতে হয়নি। তাহলে ভারতে যাওয়া লাগতো না।

এদিকে বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে দলের সামর্থ্য নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শাহরিয়ার পলাশ নামে এক টাইগার ভক্তের মন্তব্য, একটা দল হঠাৎ করে একটি ম্যাচ খারাপ খেলতে পারে, দুটি ম্যাচ খারাপ খেলতে পারে। তখন আপনি বলতে পারেন, দিনটি তাদের ছিল না। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে খারাপ খেললে এটাই আপনার স্কিল। আপনি শত চেষ্টা করেও এর থেকে বেশি দূর যেতে পারবেন না।

অনেকেই আবার বিসিএস পরীক্ষার সঙ্গে জাতীয় দলের চান্স পাওয়ার বিষয়টি তুলনা করেছেন। সাবিকুল ইসলাম ইরাদ নামে এক সমর্থকের দাবি, বাংলাদেশ জাতীয় দলে চান্স পাওয়ার ক্ষেত্রে বিসিএস কিংবা বাংলাদেশ ব্যাংকের এডির মতো ক্রিকেটীয় জ্ঞানের পরীক্ষা পদ্ধতি (প্রিলি, রিটেন, ভাইভা) চালু করা হোক। তারা কোনো প্রকার ক্রিকেটীয় গ্রামার/জ্ঞান ছাড়া খেলে, তাই বারবার ফেল মারে। আর তাদের বেতন স্কেল শুরু হবে নবম, দশম ও এগারো গ্রেড অনুযায়ী। ইনক্রিমেন্ট হবে পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission