ছোট পর্দার জনপ্রিয় দুই অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশা ও খায়ারুল বাসার। ইতোমধ্যে দুজনেই নিজ অভিনয়গুণে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছেন। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে বেশ প্রসংশাও কুড়িয়েছেন নাটকপ্রেমীদের। এবার ঈদে পর্দা মাতাতে আসছেন তিশা-খায়রুল।
আসন্ন ঈদুল ফিতরে ‘অপূর্ণতা’ নামের একটি নাটকে দেখা যাবে তিশা-খায়রুলকে। নাটকটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা পনির খান।
নাটকের গল্পে দেখা যায়— আবিরের পারিবারিক ব্যবসায় ধস নামার কারণে একের পর এক সমস্য সম্মুখীন হয় তারা। আবির তার সর্বস্ব দিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করছে। গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে কাজ আর দুশ্চিন্তাময় নির্ঘুম রাত যেন আবিরের জীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে।
সেদিন রাত করে গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল আবির। পথে সিগারেট কিনতে গাড়ি থামাতেই আক্রান্ত হয় দুই ছিনতাইকারী দ্বারা। প্রতিবাদ করতে গিয়ে একপর্যায় আবিরের পেটে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে এক ছিনতাইকারী। আবির আহত হয়ে পথেই লুটিয়ে পরে।
অন্যদিকে বাবা-মা হারা রিমি ও তার ছোট ভাইকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তাদের অত্যচারী চাচি। রিমি একসময় নার্সিং পড়ার পাশাপাশি একটা রেস্টুরেন্টে কুকের কাজ করত। পরবর্তীতে রিমির জায়গা হয় একটা মহিলা হোস্টেলে আর ওর ভাইয়ের জায়গা হয় চাচার গোডাউনে। নিজের ভাইয়ের দায়িত্ব নিতে গিয়ে রিমি নিজের পড়া ছেড়ে দিয়ে রেস্টুরেন্টে ফুল টাইম কাজ শুরু করে।
সেদিন হোস্টেলে ফেরার সময় রক্তাক্ত অবস্থায় আবিরকে পড়ে থাকতে দেখে রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারীর সহায়তায় তাকে হাসপাতালে পৌছে দেয়। সুস্থ হয়ে আবির রিমিকে খুজে বের করে এবং বঝুতে পারে গভীরভাবে রিমির প্রেমে পড়ে গেছে সে। দুজনের মেলামেশায় সম্পর্ক গভীর হলেও রিমি কখনই আবিরকে নিজের পর্যায়ে ভাবতে পারে না। ও সবসময় একটা দূরত্ব বজায় রাখে। কিন্তু আবিরের মা রিমিকে অপমান করে এবং তার বিয়ের আয়োজনের দায়িত্ব রিমিকেই দেয়। এই অবস্থায় আবির দোটানায় পরে যায়।
নিজেদের কোম্পানি বাচানোর জন্য ওর পারিবারিকভাবে ঠিক হওয়া বিয়েটা করা খুব জরুরী হয়ে যায়। একদিকে ভালোবাসা অন্য দিকে কোম্পানির তথা পুরো পরিবারের স্বার্থ। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
তিশা-খায়রুলের ভালোবাসার পরিণতির শেষটা দেখতে হলে চোখ রাখতে হবে আরটিভির পর্দায়। ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ৭টা ৩০মিনিটে নাটকটি প্রচারিত হবে আরটিভিতে।