কক্সবাজার জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ ২১ মামলার আসামি শফি ডাকাতকে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ ও গ্রেনেডসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫।
এ সময় তার কাছ থেকে ১টি ওয়ান শুটারগান, ২টি একনলা বন্দুক, ১টি এলজি, ১০টি এন্টি পারসোনাল মাইন, ১০টি ডেটোনেটর, ৫০টি রাইফেলের তাজা গুলি, ৫৩টি রাইফেলের খালি কার্তুজ, ৬টি শটগানের খালি কার্তুজ, ৭৬৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) এবং ৩টি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান।
তিনি জানান, হত্যা, অপহরণ, গুম-খুন, ডাকাতি প্রতিরোধ, মাদক উদ্ধার এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারে র্যাবের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে র্যাব-১৫, কক্সবাজার জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী ডাকাত শফিকে ধরতে দীর্ঘ এক মাস ধরে গোপনে নজরদারি ও অভিযান চালিয়ে আসছিলো। অবশেষে গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারি, টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প-২৬-এর পশ্চিম পাশে হাজীর প্রজেক্ট পাহাড়ের পাদদেশে ডাকাত শফি ও তার সহযোগীরা অবস্থান করছে।
এমন সংবাদে র্যাব-১৫ এর একটি দল সোমবার রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে শফি ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তার সহযোগীরা শফি ডাকাতকে ছিনিয়ে নিতে র্যাবকে লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালায়, তৎক্ষণাৎ র্যাব সদস্যরা বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা ৩ রাউন্ড গুলি চালায়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে গহীন পাহাড়ি আস্তানা থেকে ডাকাত শফির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
উল্লেখ্য, ডাকাত শফির নামে ২টি হত্যা, ২টি ডাকাতির প্রস্তুতি, ৬টি অস্ত্র, ৬টি মারামারিসহ মোট ২১টি মামলা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে শফি রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় একটি দুর্ধর্ষ অস্ত্রধারী ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। শফি ডাকাতকে গ্রেপ্তার পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরটিভি/এএএ/আইএম