বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আলেপ উদ্দিনসহ পাঁচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৪টি গুমের অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে এ অভিযোগ করেছে ভয়েস অব ইনফোর্স ডিসাপেয়ারড পারসনস-ভয়েড।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। ১০ হাজারেরও বেশি ভুক্তভোগী সারা বাংলাদেশে রয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই সাধারণ। তারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। সাধারণ জনগণ হওয়ার কারণে এখনও প্রকাশ্যে আসতে ভয় পাচ্ছেন তারা। এখনও আতঙ্ক কাটছে না। তাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে তাদের নিয়ে ভয়েড সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এরই মধ্যে ভয়েড-এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেড় শতাধিক গুমের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৪টি অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে মাসুদ গাজী নামের একজন ভুক্তভোগীও নিজের গুমের বর্ণনা তুলে ধরেন। তিনি ৪৫ দিন র্যাবের গোপন বন্দিশালায় গুম ছিলেন বলে জানিয়েছেন।
এছাড়া ভয়েডে এখনও দুই শতাধিক ভুক্তভোগী রয়েছেন বলে জানান সংগঠনটির নেতা। তবে ধারাবাহিকভাবে সবাইকে প্রকাশ্যে আনা হবে। একইসঙ্গে অতীতের বীভৎস ঘটনা জাতির সামনে তুলে ধরে সতর্ক করা হবে।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক এই র্যাব কর্মকর্তা আলেপ উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজনকে হাজির করা হয়। সেদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান আলেপ উদ্দিন ও সাবেক পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে গুম, নির্যাতন এবং ধর্ষণের অভিযোগে শক্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর। তিনি অসংখ্য মানুষকে গুম ও নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে তিনি অনেককে গোপন স্থানে আটকে রেখে ভয়াবহ নির্যাতন চালিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আলেপের বিরুদ্ধে বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, চোখ বেঁধে নির্যাতন, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানোর মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
আরটিভি/এআর