ডলারের বিপরীতে বাড়লো টাকার মান

আরটিভি নিউজ  

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫ , ০৪:৪১ এএম


ডলারের বিপরীতে বাড়লো টাকার মান
ছবি: সংগৃহীত

প্রবাসী আয়ের তীব্র প্রবাহ এবং প্রত্যাশিত রপ্তানি আয়ে ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকা শক্তিশালী হয়েছে। গত ১০ দিনে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্য হ্রাস পেয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বিজ্ঞাপন

ডলারের দাম কমার কারণে টাকার মান বেড়েছে। এতে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ আরও কমছে। পাশাপাশি ডলারের বাড়তি দামের কারণে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপও কমবে। একই সঙ্গে বৈদেশিক দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রেও কম দামে ডলার পাওয়া যাবে। এতে দায়ও কমবে।

গত রোববার (১৩ জুলাই) বেশিরভাগ ব্যাংক ডলার বিনিময় করেছে প্রতি ডলার ১২০.৩০ টাকা থেকে ১২১.২০ টাকায়, যেখানে গত সপ্তাহের শুরুতে ডলারের দর ছিল ১২২.৮০ টাকা থেকে ১২২.৯০ টাকা। সবশেষ তথ্যমতে, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কমে ১২০ টাকার নিচে নেমে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৪ জুলাই) মার্কিন ডলার ১১৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২০ টাকা ১০ পয়সায় ব্যাংকগুলো কেনাবেচা করেছে। এর আগে, ১৪ জুলাই তা ১১৯ টাকায় নেমে আসে। যা গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত বছরের আগস্টে সর্বনিম্ন ১১৯ টাকা ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেকর্ড ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে প্রাপ্ত সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

এটি আগের অর্থবছর (২০২৩-২৪) এর ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি। এই রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারাবাহিকতায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই মাসের প্রথম ১২ দিনে প্রবাসীরা প্রায় ১ হাজার ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এই সময়ে প্রবাসীদের প্রেরিত গড় দৈনিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৮৯ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলার। যেখানে গত বছরের একই সময়ে দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ ছিল ৯৪৮ মিলিয়ন ডলার। 

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) এবং রপ্তানি আয় দুটোই বাড়ছে। এর ফলে বাজারে ডলারের জোগান স্বাভাবিক রয়েছে। অন্যদিকে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির মতো পণ্যের আমদানির খরচ তেমন বাড়েনি। যার প্রভাবে ডলারের ওপর চাপ কমেছে এবং দাম কমতির দিকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, গভর্নরের নির্দেশনায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো বাজার থেকে ডলার কিনে আমদানি বিল পরিশোধ করেছে। ফলে তাদের আর ব্যাকলগ নেই। এখন রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় ভালো থাকায় ডলারের জোগান স্বাভাবিক রয়েছে।

আরটিভি/কেএইচ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission