নদীগর্ভে ফসলি জমি, আতঙ্কে শত শত পরিবার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫ , ০৭:৪৫ পিএম


নদীগর্ভে ফসলি জমি, আতঙ্কে শত শত পরিবার
ছবি: আরটিভি

পদ্মার পানি বাড়ায় রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়েছে প্রায় একশত বিঘা ফসলি জমি। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে বসতবাড়ি, স্কুল, মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনা। 

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা সদরের মহাদেবপুর, চর সিলিমপুর, মেছোঘাটা, রামচন্দ্রপুর এবং গোয়ালন্দের অন্তর মোড়, মুন্সিবাজার, কাউলজানি ও বেপারীপাড়া এলাকায় পদ্মায় ব্যাপক ভাঙন চলছে।

জানা যায়, এক সপ্তাহের ভাঙনে শুধু মুন্সিবাজার ও কাউয়ালজানি এলাকাতেই প্রায় ৩০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে নদী তীরবর্তী সদরের মিজানপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদী তীরের শত শত পরিবারের দিন কাটছে চরম আতঙ্কে।

বিজ্ঞাপন

পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলায় পদ্মা তীরবর্তী এক কিলোমিটার সমতল ভূমি ও আধা কিলোমিটার এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙনের ঝুঁকিতে থাকার কথা বললেও স্থানীয়দের দাবি, বাস্তবে অন্তত ছয় কিলোমিটার এলাকায় তীব্র ভাঙন চলছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দার বলেন, আমি সরজমিনে ভাঙন কবলিত মুন্সিবাজার ও কাউয়ালজানি এলাকা পরিদর্শন করেছি। গত কয়েক দিনের ভাঙনে এই দুই এলাকাতেই অন্তত ৬০ থেকে ৭০ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ প্রশাসনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ বিষয়টি ওয়াকিবহাল রয়েছেন। 

রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আল মিন বলেন, রাজবাড়ী সদরের ভাঙন এলাকায় জরুরি ভাবে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। আর গোয়ালন্দের বিষয়ে ফরিদপুর এসি অফিসে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ এলেই কাজ করা যাবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ী জেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর প্রায় ৫৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য। বর্ষাকালে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন দেখা দেয়। আমরা রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলার ভাঙন কবলিত ৮টি পয়েন্ট চিহ্নিত করেছি। আমাদের চিহ্নিত করা এক কিলোমিটার সমতল ভূমি ও আধা কিলোমিটার এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

ভাঙনের বিষয়ে গোয়ালন্দের ইউএনও আমাদের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পত্র প্রেরণ করেছেন। আমারাও ওই পত্রের রেফারেন্স ধরে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রকল্পের জন্য পত্র দিয়েছি। প্রকল্পের অনুমোদন পেলেই আমরা এসব জায়গায় কাজ শুরু করব।
 
আরটিভি/এএএ/এআর

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission