রাজবাড়ীর পাংশায় গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক স্থানে সাপের দংশনের শিকার হয়েছেন তিনজন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. এবাদত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত সময়ে তারা এসেছেন। তিনজনই সাপ মেরে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন বলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. এবাদত হোসেন জানান।
বর্তমানে তারা পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
সাপে কাটা রোগীরা হলেন উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা গ্রামের মৃত হাতেম মণ্ডলের ছেলে কৃষক আজিজ মণ্ডল (৬৫), একই ইউনিয়নের নাদুরিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী হাসিনা খাতুন(৫৫) ও উপজেলার যশাই ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর গ্রামের তারেক শেখের ছেলে আসিফ শেখ(১৮)।
সাপে কাটা রোগী কৃষক আজিজ মণ্ডল বলেন, সকালে পাঠ জাগ দেওয়ার সময় একটি সাপের বাচ্চা আমার ডান হাতে কামড় দেয়। পরে সাপটি মেরে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তারা জানান, সাপটি গোখরা সাপের বাচ্চা।’
আরেক রোগী হাসিনা খাতুন বলেন, সকালে ভাত রান্নার সময় আমার পায়ে পিঁপড়ার মতো কিছু একটা কামড় দেয়। তখন নিচে তাকিয়ে দেখি একটি সাপ। এসময় চিৎকার করলে বাড়ির সবাই এসে সাপটিকে মেরে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ির পাশের একটি বাড়ি থেকে গোখরা সাপের ৩৬টি ডিমের খোসা ও ১৭টি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করা হয়। তখন বাকি বাচ্চাগুলো পাওয়া যায়নি। এই বাচ্চাগুলোই বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে।
আসিফ শেখ নামের আরেক রোগী বলেন, রাতে আমাদের বাড়ির পাশে একটি ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলাম। এসময় আমার পায়ে কিছুতে কামড় দেয়। তখন লাইট মেরে দেখি সাপ। পরে সাপটি মেরে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। ডাক্তার চিকিৎসা দেওয়ার পর বর্তমানে ভালো আছি।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এবাদত হোসেন বলেন, রোগীদের ক্ষতস্থানে বিষাক্ত সাপে কাটার লক্ষণ রয়েছে। আমরা তাদের পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তবে এখন পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে বিষক্রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়নি। ফলে অ্যান্টিস্নেক ভেনম প্রয়োগ করা হয়নি। রোগীদের অবস্থা বুঝে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
আরটিভি/এমএ