৫৮ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০১৭ , ০২:৪১ পিএম


৫৮ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি

মহান মুক্তিযুদ্ধে শব্দ সৈনিক হিসেবে অবদান রাখায় ৫৮ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৪৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে।

একাত্তরে বাঙালির স্বাধীনতাযুদ্ধের সূচনায় এই শব্দসৈনিকদের গড়ে তোলা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র এ দেশের মুক্তিকামী মানুষকে ৯টি মাস প্রেরণা যুগিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান চরমপত্রের উপস্থাপক এমআর আখতার মুকুল, চলচ্চিত্রকার সুভাষ দত্ত, কণ্ঠশিল্পী ফকির আলমগীর ও তিমির নন্দীসহ ৫৮ জন সাংস্কৃতিক কর্মীকে (শব্দ সৈনিক) মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

স্বীকৃতি পাওয়া অন্যরা হলেন- চলচ্চিত্রকার জহুরুল হক, মুশতারি শফি, খন্দকার রাজু আহমেদ, কণ্ঠশিল্পীদের মধ্যে রয়েছেন মাহজাবিন বেগম (কুইন), আজহারুল ইসলাম, আবু নওশের, সারোয়ার জাহান (মৃত), রেজওয়ানুল হক (মৃত), হযরত আলী বয়াতি (মৃত), মঞ্জুশ্রী নিয়োগী, মৃণাল ভট্টাচার্য্য, প্রবাল চৌধুরী (মৃত), উমা খান, কল্যাণী ঘোষ, সুজিত রায়, গীতশ্রী চৌধুরী, এম কে কে সিদ্দিক, মোজাম্মেল হক, সাজেদা খাতুন, আমিরুল ইসলাম প্রধান, আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ নিয়াজ উদ্দিন, মোশাররফ হোসেন মশু, ধীরেন্দ্রনাথ নমদাস, শমসের আলী প্রধান (মৃত), মালা খুররম, শিবু রায়, শুক্লা ভদ্র, এনামুল হক, চিত্তরঞ্জন ভুইয়া, ফিরোজা চৌধুরী, যন্ত্রশিল্পী সুবল দত্ত (মৃত), মিলন ভট্টাচার্য্য, টেকিনিশিয়ান আমিনুর রহমান, অনুলিপিকার একরামুল হক চৌধুরী, মহিউদ্দিন আহমেদ, রেকর্ডিং সুপারভাইজার এএম শফিউর রহমান দুলু, যন্ত্রশিল্পী পরিতোষ কুমার সাহা, সুবল দত্ত (মৃত), হাজেন চন্দ্র পাহাড়ী (মৃত), আবু বকর সিদ্দিক প্রধান, অনুষ্ঠান সংগঠক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, মো. নজরুল ইসলাম (অনু ইসলাম), আ ম শারফুজ্জামান, ফয়েজ আহমদ (মৃত), তবলা বাদক সুব্রত সেনগুপ্ত, কথক ডা. দিলীপ কুমার ধর, সাব-এডিটর ম. মামুন, কবি নিরঞ্জন অধিকারী (সবুজ চক্রবর্তী), শাহ সালাউদ্দিন সাজ্জাদ (মৃত) প্রমুখ।

১৯৭১ এর ২৫ মার্চ কালরাতে ১০ জন সাহসী সৈনিকের উদ্যোগে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। ৩০ মার্চ সেখান থেকেই প্রথমবারের মতো শোনা যায় জয় বাংলা, বাংলার জয়। ওই দিন দুপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় এ বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। কালুরঘাটের পতনের পর শব্দযোদ্ধাদের দুটি দলের চেষ্টায় আগরতলা ও ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গা থেকে বেতার কেন্দ্রের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হয়। ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হওয়ার পর ভারত সরকারের সহায়তায় কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে সম্প্রচার শুরু করে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। অস্ত্র হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাধীন বাংলা বেতারের শব্দসৈনিকদের কণ্ঠ যুদ্ধ চলে স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত।

বিজ্ঞাপন

সি/

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission