অনেক আলোচনার মধ্যদিয়ে পল্টনের জরাজীর্ণ মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল জাতীয় বক্সিং প্রতিযোগিতা ২০২৫। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ১৭টি স্বর্ণপদক জিতেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তবে টুর্নামেন্ট শেষে বিজয়ীদের থেকে বেশি আলোচনায় রয়েছে মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়াম।
দেয়াল থেকে স্টেডিয়ামের ভিতরে অঝোরে পড়ছে পানি। চেয়ারে জমে আছে ধুলাবালির স্তুপ। কাপড় দিয়ে তা পরিষ্কার করে একটু বসার জায়গা খুঁজছেন দর্শকরা। গ্যালারিতে পৌঁছাতে রাখা হয়েছে মইয়ের ব্যবস্থা। যা দিয়ে উঠে বোনের খেলা দেখছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা।
স্টেডিয়ামের এমন দুর্দশার মধ্য দিয়েই শেষ হয়েছে ঘরোয়া বক্সিং সর্বোচ্চ স্তরের টুর্নামেন্ট। ৫২ কেজি ওজন ক্যাটাগরির ফাইনালে নেমে প্রতিপক্ষ আফরা খন্দকারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিনাত ফেরদৌসের। তিন রাউন্ডের লড়াইয়ে শুরু থেকেই জিনাত ছিলেন আক্রমণাত্মক।
এশিয়ান কাপে সুযোগ পেলে দেশকে স্বর্ণপদক উপহার দিতে চান জিনাত। তিনি বলেন, বাংলাদেশি ছেলে-মেয়েরা হাল ছাড়তে চায় না। ওরা সত্যিকার অর্থে খেলতে চায়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয়, ওদের স্কিল ও কৌশলে ঘাটতি আছে।
এদিকে ছেলেদের ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। ম্যাচের ফলাফল নিয়ে অসন্তোষ জানান আনসারের বক্সার উৎসব আহমেদ। রেফারিং ও বিচারকদের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আন্তর্জাতিক বক্সিংয়ে প্রথম স্বর্ণপদকজয়ী এই বক্সার।
উৎসব বলেন, একটা অভিযোগ করা হয়েছে সাধারণ সম্পাদকের কাছে। সরাসরি বলেছে, আনসার টিম খেলতে হবে না। তোমরা চলে যাও। এটা কেমন নিয়ম!
তবে বিষয়টিকে ভিত্তিহীন বলছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস কুদ্দুস। তিনি বলেন, আমি হেরে যাব। হেরে গেলেই বলব যে এটা নিরপেক্ষ না। এটা পক্ষপাতিত্ব হয়েছে। এটাতো ঠিক না।
আরটিভি/এসআর