সৌদি প্রো-লিগে তারকা খেলোয়াড়দের আগমন যেন এখন এক নিয়মিত চিত্র। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছেন পর্তুগালের প্রতিভাবান ফরোয়ার্ড জোয়াও ফেলিক্স। ইউরোপিয়ান ফুটবলের আলো-ঝলমলে মঞ্চ পেরিয়ে এবার তিনি পা রাখতে চলেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ক্লাব আল-নাসরে।
ফ্রেঞ্চ ফুটবলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম Foot Mercato জানিয়েছে, ফেলিক্সকে সৌদি ক্লাবে টানার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন রোনালদো নিজেই। জাতীয় দলকে সামনে রেখে শক্তিশালী একটি যুক্তি তুলে ধরেই ফেলিক্সকে রাজি করান পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা।
সূত্র অনুযায়ী, ৪০ বছর বয়সী রোনালদো ফেলিক্সকে বোঝান—আল-নাসরে নিয়মিত ৪০-৫০টি ম্যাচ একসঙ্গে খেললে তাদের মাঠের বোঝাপড়া আরও দৃঢ় হবে। আর সেই বোঝাপড়া জাতীয় দলের কোচ রবার্তো মার্টিনেজের নজরে আসতে পারে, যা ২০২৬ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে হতে পারে ‘নির্ণায়ক’। ফেলিক্সও এই ভবিষ্যৎ ভাবনায় রাজি হয়ে যান এবং সৌদিতে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে সম্মত হন।
২৫ বছর বয়সী এই অ্যাটাকিং ফরোয়ার্ড এক সময় ছিলেন ইউরোপের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় তরুণ তারকা। তবে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে কঠিন সময় পার করেছেন। চেলসিতে ধারাবাহিকতা আনতে পারেননি আর মিলানে কাটানো সময় ছিল প্রায় ছায়ামানবের মতো। এবার আল-নাসরে ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে দুই বছরের চুক্তিতে যাচ্ছেন ফেলিক্স। নতুন চুক্তিতে তার বার্ষিক বেতন ধরা হয়েছে ১০ মিলিয়ন ইউরো।
রোনালদোর ছায়ায় থেকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে চান ফেলিক্স। শুধু তাই নয়, ২০২৬ বিশ্বকাপে জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়াও তার অন্যতম লক্ষ্য। সৌদি প্রো-লিগ এখন আর শুধু অর্থের লিগ নয়, বরং রোনালদো, বেনজেমা, কান্টে, মানে, মাহরেজদের মতো তারকাদের মঞ্চে পরিণত হয়েছে।
খুব শিগগিরই ফেলিক্সের সঙ্গে আল-নাসরের আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন হবে। এরপরই তিনি দলের সঙ্গে অস্ট্রিয়ায় প্রাক-মৌসুম ক্যাম্পে যোগ দেবেন। একসময় যিনি ছিলেন ইউরোপের সবচেয়ে দামি তরুণ তারকা, সেই ফেলিক্সের ক্যারিয়ার এবার নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে। আর তার এই পথে সবচেয়ে বড় সহযাত্রী—ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে হলে, এই সিদ্ধান্তই হতে পারে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানো অধ্যায়।
সংক্ষিপ্ত তথ্য:
. চুক্তির ক্লাব: আল-নাসর (সৌদি আরব)
. ট্রান্সফার ফি: £২৬ মিলিয়ন
. চুক্তির মেয়াদ: ২ বছর
. বার্ষিক বেতন: €১০ মিলিয়ন
. রোনালদোর ভূমিকা: জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ বোঝাতে ফেলিক্সকে রাজি করান
. পরবর্তী পদক্ষেপ: অস্ট্রিয়ার ক্যাম্পে যোগদান।
আরটিভি/এসকে