ইউরো নারী ফুটবলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে টাইব্রেকারে স্পেনকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা ধরে রাখল ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে ১-১ গোলে সমতায় থাকায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে, যেখানে ক্লোই কেলির জয়সূচক শটে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট পরে সারিনা ভিগম্যানের দল।
ম্যাচের ২৫তম মিনিটে ওনা বাতিয়ের ক্রসে দুর্দান্ত হেডে স্পেনকে এগিয়ে দেন মারিওনা ক্যালদেন্তে। প্রথমার্ধে লরেন জেমসের ইনজুরিতে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ক্লোই কেলি। তার উপস্থিতিতেই বদলে যায় ইংল্যান্ডের গতি। ৫৭তম মিনিটে কেলির নিখুঁত ক্রসে হেডে গোল করে সমতা ফেরান আলেসিয়া রুসো।
খেলার বাকি সময়জুড়ে স্পেন আধিপত্য দেখালেও ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগ ছিল অটুট। অতিরিক্ত সময়েও গোল না আসায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। শুরুতে ইংলিশ ফরোয়ার্ড বাথ মিডের শট ঠেকান স্প্যানিশ গোলকিপার কাটা কোল, তবে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন হান্নাহ হাম্পটন। একের পর এক শট ঠেকান কালদেন্তে ও বোনমাতির।
শেষ দিকে স্পেনের সালমা পারালুয়েলো শট মিস করলে সুযোগ আসে ক্লোই কেলির সামনে। সেই চেনা ‘প্র্যাঙ্কিং রান-আপ’ নিয়ে বল জালে পাঠিয়ে ইংল্যান্ডকে এনে দেন ঐতিহাসিক জয়।
এই জয় শুধুই শিরোপা নয়, দেশের বাইরে ইংল্যান্ড নারী দলের প্রথম বড় টুর্নামেন্ট জয়ের স্বাদ। একইসঙ্গে কোচ সারিনা ভিগম্যান গড়লেন অনন্য কীর্তি—দুই ভিন্ন দেশকে নিয়ে ইউরো জয়ের হ্যাটট্রিক। এর আগে নেদারল্যান্ডসের কোচ হিসেবেও ইউরো জিতেছিলেন তিনি।
টাইব্রেকারের উত্তেজনায় ফুটে উঠেছে এক নতুন অধ্যায়—ইউরোপীয় নারী ফুটবলের মঞ্চে ইংল্যান্ড এখন প্রতিষ্ঠিত পরাশক্তি।
আরটিভি/এসকে