সদ্য শেষ হওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই দর্শক পূর্ণ ছিল মিরপুর স্টেডিয়াম। সেই সঙ্গে টিকিট বিক্রিতে প্রায় ৩ কোটি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সাম্প্রতিক সময় বিবেচনায় দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টিকিট খাত থেকে এটাই সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড ক্রিকেট বোর্ডের। এর মধ্যে শেষ ম্যাচ থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটা দেওয়া হবে জুলাই ফাউন্ডেশন আর মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায়। এনএসসির অংশ, টিকিট ছাপানোর খরচ বাদে, লভ্যাংশ সেই খাতে দিবে ক্রিকেট বোর্ড।
প্রায় ১৩ মাস পর জাতীয় দলে খেলা মাঠে গড়ানোর প্রত্যাবর্তনটা বেশ ভালোই হলো হোম অব ক্রিকেটের। পুরনো রূপ, পুরনো উন্মাদনা। এই সিরিজের ৩ ম্যাচের প্রতিটিতে ইস্টার্ন আর নর্দান স্ট্যান্ড ছিল সোল্ড আউট।
ম্যাচ প্রতি প্রায় ৯০ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছে বিসিবি। সংখ্যাটা আরও বাড়ার সম্ভাবনাও আছে। সে হিসেবে ৩ ম্যাচ সিরিজে বিসিবির আয় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকার বেশি। নিয়মানুযায়ী এই খাতের ১৫ শতাংশের মালিক জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সে হিসেবে তাদের প্রাপ্য ম্যাচপ্রতি প্রায় ৬ লাখ টাকা।
এই সিরিজ দিয়ে বিপিএলের পর আন্তর্জাতিক সিরিজেরও টিকিট বিক্রি হলো অনলাইনে। এ নিয়ে অসন্তুষ্টি থাকলেও লাগামে ছিল কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য। স্টেডিয়াম চত্বরে কালোবাজারে বিক্রি হওয়া বেশিরভাগ টিকিটই ছিল বিসিবির সৌজন্য খাতের।
প্রতি ম্যাচের ৩০ শতাংশ টিকিট বরাদ্দ ছিল স্পনসর ও সৌজন্য খাতে। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ক্রীড়া পরিষদ সহ, ক্লাব, পৃষ্ঠপোষকরাও পায় বিনামূল্যের টিকিট। সেসবই হাত ঘুরে গেছে কালোবাজারিদের হাতে। সৌজন্য খাতে লাগাম টানা গেলে, দর্শকদের জন্য যেমন বাড়বে বরাদ্দ, তেমনি কমবে ব্ল্যাকারদের আধিপত্য।
আরটিভি/এসআর/এস