ব্রাজিলিয়ান সেরি আয় ইন্তারনাসিওনালের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে সান্তোস। এতে দেশটির শীর্ষ লিগে অবনমন অঞ্চলে নেমে যায় তারা। এদিন ম্যাচশেষে এক সমর্থকের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন দলটির সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার জুনিয়র।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে একটি শোধ করে সান্তোস। এর তিন মিনিট পর নেইমারের বাঁ পায়ের জোরাল শট ইন্তারনাসিওনাল গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে পোস্টে লেগে বল পড়ে গোললাইনে। এরপর গোলরক্ষক নিয়ন্ত্রণে নেন বল।
নেইমার ভেবেছিলেন গোললাইন পেরিয়ে গেছে বল, তাই গোল ধরে নিয়ে খ্যাপাটে উদযাপন শুরু করে দেন তিনি। এমনকি লাথি মেরে কর্নার ফ্ল্যাগ ভেঙে ফেলেন। কিন্তু গোল দেননি রেফারি। এতে হতাশ হয়ে পড়েন নেইমার। হাঁটু গেড়ে বসে রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান তিনি।
একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার আগে গ্যালারির কাছে গিয়ে সান্তোসের এক সমর্থকের সঙ্গে তর্ক করছেন নেইমার। তখন বেশ উত্তেজিত দেখাচ্ছিল তাকে। পরে সতীর্থ গোলরক্ষক গিয়ে সরিয়ে আনেন তাকে।
এরপর নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সমর্থকের সঙ্গে বিতর্কে জড়ানোর ব্যাখ্যা দিয়েছেন নেইমার। তিনি লিখেছেন, উত্তেজনার মুহূর্তে যখন আপনাকে অন্যায়ভাবে অপমান করা হয়, তখন অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
মাঠের পারফরম্যান্স নিয়ে ভক্তরা যখন আমার সমালোচনা করবে, তখন তাদের সঙ্গে কখনও তর্ক করব না, কারণ আমি খারাপ খেলছি কি না, তা বলার অধিকার তাদের আছে এবং আমাকে দুয়ো দেওয়ার পূর্ণ অধিকার তাদের আছে! তারা যা করতে পারে না তা হলো আমাকে ওইভাবে অপমান করা, যেমনটা করা হয়েছে।
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে নেইমার বলেন, যেদিন ভক্তরা মনে করবে যে, আমি আর দলকে সাহায্য করতে পারব না বা আমি যে কোনোভাবে ক্লাবের ক্ষতি করছি, আমিই প্রথমে আমার ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাব! সান্তোস আমার সবচেয়ে বড় আবেগের একটি।
Santos lost once again last night and they now find themselves in the RELEGATION zone. 🇧🇷
— Football Tweet ⚽ (@Football__Tweet) July 24, 2025
After the game, Neymar got into a heated argument with fans. 😤 pic.twitter.com/7zuQ4XMGME
তিনি আরও বলেন, যতক্ষণ আমার শক্তি থাকবে, এই ক্লাবের জন্য আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। সান্তোসের যেখানে থাকা উচিত, সেখানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমি দৌড়াব, লড়াই করব, চিৎকার করব, এমনকি প্রয়োজনে তর্কও করব।
সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলালে চোট জর্জরিত অধ্যায় শেষে গত জানুয়ারিতে সান্তোসে ফেরেন নেইমার। তবে মাঠের ফুটবলে জ্বলে উঠতে পেরেছেন তিনি কম সময়ই। এখানেও চোট তার পিছু ছাড়েনি। চোটে মাঠের বাইরে ছিটকে যেতে হয়েছে বারবার। এ যাত্রায় দলটির হয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ ম্যাচ খেলে ৪ গোল করতে পেরেছেন বার্সেলোনা ও পিএসজির সাবেক এই ফরোয়ার্ড।
আরটিভি/এসআর/এস