ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন বার্সেলোনার কিংবদন্তি জাভি হার্নান্দেজ—খবরটি সামনে আসতেই ফুটবল দুনিয়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে।
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)-এর টেকনিক্যাল কমিটির কাছে কোচ নিয়োগের জন্য আসা প্রার্থীদের তালিকায় ছিল পরিচিত অনেক নাম—ভারতের সাবেক কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন, লিভারপুলের তারকা হ্যারি কিউয়েল, ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের প্রাক্তন ম্যানেজার স্টিভ কিন এবং দেশি কোচ খালিদ জামিলসহ আরও অনেকে। কিন্তু সবচেয়ে বিস্ময় জাগানো নামটি ছিল তালিকার একেবারে নিচে—জাভি হার্নান্দেজ।
AIFF-এর জাতীয় দলের ডিরেক্টর সুব্রত পাল টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে নিশ্চিত করে বলেন, হ্যাঁ, জাভির নাম সত্যিই তালিকায় ছিল। তার তরফ থেকে একটি ইমেইল এসেছিল এআইএফএফে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, অন্য আবেদনকারীদের মতো জাভির কোনো যোগাযোগ নম্বর ছিল না, কেবল তার ব্যক্তিগত ইমেইল থেকে পাঠানো একটি আবেদনপত্র। বার্সেলোনার হয়ে ৭০০-র বেশি ম্যাচ খেলা জাভি খেলোয়াড় হিসেবে যেমন সফল, তেমনি কোচ হিসেবেও পেয়েছেন সফলতা। স্পেনের হয়ে তিনি জিতেছেন ২০১০ সালের ফিফা বিশ্বকাপ এবং দুটি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। বার্সার হয়ে জিতেছেন ২৫টি ট্রফি, যার মধ্যে রয়েছে ৮টি লা লিগা ও ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
কোচিং ক্যারিয়ারে কাতারের আল-সাদ দিয়ে শুরু করে পরে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জাভি। সেখানেও সফল ছিলেন—আড়াই বছরে জেতান দুটি ট্রফি, যার একটি ছিল ২০২২-২৩ মৌসুমের লা লিগা।
তবে এতসব কৃতিত্বের পরও জাভির প্রস্তাবে আগাতে পারছে না এআইএফএফ। একজন ফেডারেশন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানিয়েছেন, “জাভি আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। হয়তো তাকে রাজিও করানো যেত। কিন্তু তাকে জাতীয় দলের কোচ করতে যে খরচ হবে, তা আমাদের সামলানো কঠিন।”
এক সাক্ষাৎকারে জাভি বলেছিলেন, “আমি মাঝে মাঝে ভারতীয় লিগ দেখি, কারণ সেখানে অনেক স্প্যানিশ কোচ কাজ করছেন।” এই বক্তব্যে বোঝা যায়, ভারতের ফুটবলে তার কিছু আগ্রহও রয়েছে।
তবে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা না থাকলে হয়তো আজ ভারতীয় দলের ডাগআউটে দেখা যেত পজিশন ফুটবলের জীবন্ত প্রতীক জাভিকে। আপাতত এই স্বপ্ন শুধু রয়ে গেল কাগজে-কলমেই।
আরটিভি/এসকে