চলতি বছরের শুরুতেই তিন ফরম্যাটেরই নেতৃত্ব ছাড়তে চেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু তখনকার বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের অনুরোধে শুধু ওয়ানডে আর টেস্টে অধিনায়ক থাকতে রাজি হন তিনি। তবে গত ১২ জুন শ্রীলঙ্কার বিমান ধরা আগে শান্তকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল বিসিবি।
এরপর গুঞ্জন ওঠে টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন শান্ত। সেই গুঞ্জনকে সত্য প্রমাণ করে শনিবার (২৮) কলম্বো টেস্ট শেষে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন শান্ত।
টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে শান্ত বলেন, আমার একটা ঘোষণা ছিল আমি বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি। আমি টেস্ট ফরম্যাটে আর অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে চাই না। আমি একটা জিনিস সবাইকে ক্লিয়ারলি মেসেজটা দিতে চাই যে, এটা কোনো পারসোনাল কোন কিছু না।
তিনি বলেন, এটা দলের ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্তটা নেওয়া এবং এটাতে দলের ভালো কিছু হবে বলে আমি মনে করি। এই ড্রেসিংরুমে গত কয়েক বছর ধরে, লম্বা সময় ধরে আমার থাকার সুযোগ হয়েছে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে তিনজন অধিনায়ক দলের জন্য সমস্যা হতে পারে।
‘তাই দলের ভালোর জন্য এখান থেকে সরে আসছি। আমি আশা করব, কেউ যেন এরকম না মনে করে যে আমি ব্যক্তিগত কোনো কারণে বা রাগ থেকে সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। এটা আমি নিশ্চিত করলাম এটা দলের ভালোর জন্য, এখানে ব্যক্তিগত কিছু নেই।’
টেস্ট সিরিজ শেষে আগামী ২ জুলাই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হবে মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে শান্তর এমন সিদ্ধান্তর কারণে দলের অবস্থা কেমন থাকে সেটাই দেখার বিষয়।
আরটিভি/এসআর/এস