আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের টাইগার দলে নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফলে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) মোহামেডানের হয়ে খেলছেন তিনি। কিন্তু গত দুই ম্যাচে হেরে শিরোপার পথ থেকে ছিটকে গেছে তার দল। তবে কঠিন সময়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দলকে জিতিয়েছেন ‘সাইলেন্ট কিলার’ রিয়াদ।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে রিয়াদের ৭১ রানে নির্ধারিত সময়ে ২৪০ রানের পুঁজি পায় মোহামেডান। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারে ২২০ রানে অলআউট হয় আকবর আলীর দল। ফলে ২০ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় মোহামেডান। বল হাতে কিপটে বোলিংয়ে ১ উইকেট নেন মাহমুদুল্লাহ।
রোববার (৭ মে) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ডিপিএলের সুপার লিগের ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে মোহামেডান। ১৭ রানের মধ্যেই একে একে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও রুবেল মিয়া।
তবে চতুর্থ উইকেটে আব্দুল মজিদকে সঙ্গে নিয়ে ১৩৩ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ। দলীয় ১৫০ রানের মাথায় বিদায় নেন মজিদ। আউট হওয়ার আগে ৬৩ রান করেন তিনি।
দলের রানে আর ১৪ রান যোগ হতে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন মাহমুদুল্লাহ। যাওয়ার আগে ৯৫ বলে সমান তিনটি চার ও ছক্কায় করেন ৭১ রান। এরপর সাতে নামা আরিফুল ৪৪ বলে ৫৫ রান করেন। ফলে নির্ধারিত সময়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানের পুঁজি পায় মোহামেডান।
বোলিংয়ে গাজীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন টিপু সুলতান। দুইটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ এনামুল ও জয়নাল ইসলাম।
জবাব দিতে নেমে ৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ রান আসলেও এরপর থেকে ধারাবাহিক বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪৯ ওভারে ২২০ রানে অলআউট হয় আকবর আলীর দল। সর্বোচ্চ ৬৩ রান আসে এস এম মেহরাবের ব্যাটে।
১০ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মোহামেডানের নাজমুল ইসলাম। দুইটি করে উইকেট এনামুল হক জুনিয়র, মুশফিক হাসান ও খালেদ আহমেদেরও। ৯ ওভারে মাত্র ৩৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন রিয়াদ।
এই জয়ে ১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগের পঞ্চম অবস্থানে আছে মোহামেডান। একই সংখ্যক ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগের তলানিতে গাজী গ্রুপ। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আবাহনী লিমিটেড।