আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা। এর আগে দুপুর তিনটার দিকে তাঁর কফিন নেয়া হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁর কফিন জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে নেয়া হয়। সেখানে তুখোর এই পার্লামেন্টারিয়ানের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর আগে জিগাতলায় তাঁর বাসা থেকে বেলা ১২টায় সুরঞ্জিতের মরদেহ নেয়া হয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে।
সেখানে লাইন ধরে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় অনেককেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা যায়। এর আগে সকাল নয় টার দিকে তাঁর মরদেহ জিগাতলার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় ল্যাব এইড হাসপাতাল থেকে।
খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাঁর জিগাতলার বাসায় ছুটে যান। সেখানে ছুটে যান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, শরীফ নুরুল আম্বিয়া (জাসদ-আম্বিয়ার), বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননসহ অনেকেই।
আগামীকাল সোমবার সকাল নয়টায় মরদেহ যাবে সিলেটে। সকাল ১০টায় সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। বেলা ১১টায় মরদেহ যাবে সুনামগঞ্জ। এরপর সেখান থেকে মরদেহ তাঁর নির্বাচিত এলাকা দিরাই ও শাল্লাতে নেয়া হবে।
সুরঞ্জিতের জিগাতলার বাসায় কথা হয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান মাহমুদের সঙ্গে। তিনি আরটিভিকে বলেন, ‘তরুণ বয়স থেকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রাজনীতি করতেন। তার মতো একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান দেশে দ্বিতীয়জন আর নেই। তার অভাব অপূরণীয়।’
রোববার ভোর রাত চারটার দিকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এআর/