সমন্বয়ক পরিচয়ে রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের সাবেক নারী সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় সম্প্রতি জানে আলম ওরফে গৌরব অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপরই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, গ্রেপ্তার এড়াতে প্রতিনিয়ত অবস্থান পরিবর্তন ও একপর্যায়ে ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকাদের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সম্প্রতি বহিষ্কৃত কেন্দ্রীয় এই নেতা। পরে প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান জানে আলম অপুকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডিবি ও থানা পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ২৬ জুলাই গুলশানে সাবেক এমপি শাম্মী আহম্মেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা দাবির সময় যখন পুলিশ উপস্থিত হয়, তখন সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায় অপু। তারপর থেকে টানা সাত দিন গ্রেপ্তার এড়াতে নানা কৌশল অবলম্বন করতে থাকে।
প্রতিদিনই সে জায়গা পরিবর্তন, মোবাইল ফোন বন্ধ রাখা এবং কোনো জায়গাতেই বেশি সময় অবস্থান করছিল না। এরই মধ্যে প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে রাজধানীর গোপীবাগ থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। যখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন সে তার এক বন্ধুর বাসা থেকে বের হয়েছিল।
গ্রেপ্তার অভিযানে থাকা ডিবির একাধিক সদস্য জানান, শুক্রবার (১ আগস্ট) ভোরে ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্য বন্ধুর বাসা থেকে বের হয়েছিল অপু। তার পরিকল্পনা ছিল ঢাকার বাইরে কোথাও গিয়ে দীর্ঘদিনের জন্য গা ঢাকা দেওয়ার। তবে তার আগেই প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর অপুকে গুলশান থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুলাই সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক হন রিয়াদসহ পাঁচজন। সেদিনই গুলশান থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন শাম্মীর স্বামী আবু জাফর। সে মামলার দুই নম্বর আসামি অপু।
আরটিভি/আইএম