জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ টানা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে মানুষের ওপর হামলা, গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, দলটি এখনও গোপনে দেশে সহিংসতা বা হামলার পরিকল্পনা করছে। এমন আশঙ্কায় সারাদেশে আগামী ১১ দিন ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) জানায়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ঘিরে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো পয়লা জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়কে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সময়ে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন ও অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, কর্মসূচিতে বাধাপ্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টাও হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের প্রতি কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
১. ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা।
২. নিয়মিত সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহন (মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য) তল্লাশি।
৩. বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের আশপাশে বিশেষ নিরাপত্তা।
৪. গ্রেপ্তানি পরোয়ানা তামিল অভিযান।
৫. মোবাইল পেট্রোল জোরদার।
৬. গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি।
এছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনার আশঙ্কা থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে স্পেশাল ব্রাঞ্চকে অবহিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ সতর্কবার্তাটি ডিএমপি কমিশনার, সিটি এসবি, বিভাগীয় উপ-পুলিশ কমিশনার, চট্টগ্রাম ও খুলনার স্পেশাল পুলিশ সুপারসহ দেশের সব জেলা পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। দেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে এনে রাজনৈতিক নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। যারা দেশে-বিদেশে বসে পরিস্থিতি অশান্ত করার পরিকল্পনায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/আরএ