নতুন প্রজন্মের ফ্যাশনে দাড়ির গুরুত্ব বাড়ছে দিন দিন। শুধু স্টাইলই নয়, দাড়ি এখন আত্মবিশ্বাসের প্রতীকও হয়ে উঠেছে অনেকের কাছে। তবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যবান দাড়ি পেতে হলে প্রয়োজন নিয়মিত যত্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাড়ি শুধু বাড়ালেই হবে না, তা পরিষ্কার, নরম ও পরিচ্ছন্ন রাখাটাই আসল কাজ।
প্রথমেই গুরুত্ব দিতে হবে দাড়ি পরিষ্কার রাখার ওপর। প্রতিদিন অন্তত একবার মাইল্ড ফেসওয়াশ বা দাড়ির জন্য বিশেষ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। এতে দাড়িতে জমে থাকা ধুলো-ময়লা ও ঘাম দূর হয় এবং ব্রণ বা চুলকানির আশঙ্কা কমে। ধোয়ার পর দাড়িতে ভালো মানের বিয়ার্ড অয়েল ব্যবহার করলে তা নরম ও মসৃণ থাকে। আর্গান অয়েল, জোজোবা অয়েল বা অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ পণ্য দাড়ি ও ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী।
দাড়িকে গঠন দিতে নিয়মিত ছাঁটাই প্রয়োজন। সপ্তাহে অন্তত একবার দাড়ি ট্রিম করলে তা পরিপাটি ও আকর্ষণীয় দেখায়। একই সঙ্গে নেকলাইন ও চেকলাইন ঠিক রেখে কাটলে মুখের গঠন আরও স্পষ্ট হয়। দাড়ি বেশি মোটা বা কোঁকড়া হলে বিয়ার্ড বাম ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে বাইরের যত্নের পাশাপাশি দেহের ভেতরের দিকেও নজর দিতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম ও পুষ্টিকর খাবার—বিশেষ করে প্রোটিন, বায়োটিন ও ভিটামিন B7—দাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পাশাপাশি মানসিক চাপ কম রাখা ও পর্যাপ্ত পানি পান করাও জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, দাড়িতে ঘন ঘন হাত দেওয়া বা ঘষাঘষি করাও ক্ষতিকর। ত্বক ও দাড়ি উভয়ই শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। মাসে অন্তত একবার দাড়ির জন্য উপযুক্ত স্ক্রাব ব্যবহার করলে ডেড স্কিন সেল দূর হয় এবং দাড়ির বৃদ্ধিও ত্বরান্বিত হয়।
সব মিলিয়ে দাড়ি রাখা যেমন ফ্যাশনের অংশ, তেমনি তার যত্ন নেওয়া একটি সচেতন রুটিনের অংশ। যারা দাড়ি রাখতে চান বা রেখে ফেলেছেন, তাদের নিয়মিত যত্নে রাখাই দাড়িকে করে তুলবে ঘন, সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
আরটিভি/টিআই