বাংলাভাষী মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন, ভারত সরকারকে ধুয়ে দিলেন ওয়াইসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, আরটিভি নিউজ 

রোববার, ২৭ জুলাই ২০২৫ , ০৯:৩১ পিএম


বাংলাভাষী মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন, ভারত সরকারকে ধুয়ে দিলেন ওয়াইসি
ফাইল ছবি

কোনোরকম আইনানুগ প্রক্রিয়া ছাড়াই হাজারো বাংলাভাষী মুসলমানকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে তাড়িয়ে দিচ্ছে ভারত। আটক অবস্থায় তাদের অনেকের ওপর নিপীড়নও চালানো হচ্ছে। অথচ, বাংলাদেশে পুশইন করা এই মুসলমানদের অনেকেই ভারতীয় নাগরিক। গত কয়েক মাস ধরে এমন বিভিন্ন প্রতিবেদন সামনে আসার পর এবার ভারত সরকারকে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (মিম) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাভাষী মুসলমান নাগরিকদের বেআইনিভাবে আটক ও পুশ ব্যাকের ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মিম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়াইসি। তিনি বলেছেন, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যালঘু ও দরিদ্র শ্রেণির উপর পরিকল্পিতভাবে নিপীড়ন চালাচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন

শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক পোস্টে তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, এ সরকার শক্তের কাছে দুর্বল, আর দুর্বলের কাছে শক্ত। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাংলাভাষী মুসলিমদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে বেআইনিভাবে আটক করা হচ্ছে। অথচ এদের অধিকাংশই ভারতীয় নাগরিক। 

আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, নির্যাতনের শিকার এই লোকেরা অধিকাংশই নির্মাণকর্মী, সাফাইকর্মী, রাস্তায় আবর্জনা তোলার সঙ্গে যুক্ত। এরা দরিদ্র শ্রেণির মানুষ। এদের অনেকের পক্ষে পুলিশের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলা বা আইনি লড়াই চালানো সম্ভব নয়। সেই দুর্বলতাকেই ব্যবহার করছে প্রশাসন।

ওয়াইসি তার বক্তব্যে গুরুগ্রামের জেলা শাসকের এক নির্দেশিকার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাতে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে এসওপি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গ টেনে ওয়াইসি বলেন, কেবলমাত্র কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলেন বলেই তাকে গ্রেপ্তার করা যায় না। ভাষাভিত্তিক গ্রেপ্তার একেবারেই বেআইনি।

বিজ্ঞাপন

এ অভিযোগের পটভূমিতে সম্প্রতি পুনে পুলিশের অভিযানকেও উল্লেখ করেছেন তিনি। বুধওয়ার পেঠ এলাকার একটি রেড-লাইট জোন থেকে পাঁচ বাংলাভাষী নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের অভিযোগ, ভুয়া পরিচয়পত্র নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন ওই নারীরা। পরে পতিতাবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। 

বিজ্ঞাপন

পুলিশের আরও দাবি, এই নারীরা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করেই দেশে ঢুকেছিলেন। একটি মানবপাচার চক্রের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল। এ ঘটনায় একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে। 

ওয়াইসি অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন এ ধরনের বিচ্ছিন্ন ঘটনার সুযোগ নিয়ে কীভাবে হাজার হাজার বাংলাভাষী মুসলিম নাগরিককে ‘অবৈধ’ বলে চিহ্নিত করা যায়? তার বক্তব্য, ভারত সরকারের এ পদক্ষেপ এক প্রকারের ‘ব্যাকডোর এনআরসি’। তার দাবি, এটি একটি নৈতিক লঙ্ঘন। বন্দুকের মুখে কাউকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া যায় না। 

আরটিভি/এসএইচএম

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission