গত ১৬ জুলাই কোল্ডপ্লে কনসার্ট দেখতে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাস্ট্রোনোমারের সিইও অ্যান্ডি বাইরন এবং প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ পরিচালক ক্রিস্টিন ক্যাবোট। কনসার্ট চালাকালে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে জড়িয়ে পড়েন তারা। যে ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এরপরই অনির্দিষ্টকালের জন্য অবসরে গিয়েছেন অ্যান্ডি বাইরন। ছাড়া তার স্ত্রী নিজের নাম থেকে স্বামীর নাম-পদবী মুছে ফেলেছেন। এবার জানা গেছে ক্রিস্টিন ক্যাবোটেরও সংসারে ভাঙন ধরেছে।
গতকাল ডেইলে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় নিউ হ্যাম্পশায়ারের রাই শহরের নিজ বাড়ির সামনে ফুলে পানি দিচ্ছিলেন ক্যাবোট। তখন তার পরনে ছিল গোলাপি রঙের অ্যাথলেজার (আরামদায়ক ক্রীড়ানির্ভর পোশাক) এবং হালকা একটি জ্যাকেট।
জানা গেছে, প্রকাশে আশার কয়েক ঘণ্টা আগে অ্যাস্ট্রোনোমারের মানবসম্পদ পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ক্যাবোট। এই পদত্যাগের পিছনে পরকীয়ার বিষয়টি সামনে আশাকেই দায়ী করছে অনেকেই।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিস্টিন ক্যাবোটের স্বামী অ্যান্ড্রু ক্যাবোট প্রিভাটের রুম কোম্পানির সিইও। দুজনের একাধিক পারিবারিক ছবি অনলাইনে পাওয়া যায়, যেখানে তারা তাদের দুই সন্তানসহ একত্রে পোজ দিয়েছেন।
তাছাড়া ২.২ মিলিয়ন ডলারের একটি দুই তলা বাড়ির যৌথ মালিক এই দম্পতি। ২০২৩ সাল থেকে সেখানে একসঙ্গে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু পরকীয়ার ঘটনায় ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় সংসারে ভাঙন ধরেছে ক্রিস্টিন ক্যাবোটের।
কারণ, বুধবার তোলা ছবিতে অ্যান্ড্রু ক্যাবোটকে কোথাও দেখা যায়নি। এ ছাড়াও তার হাতের বিয়ের আংটিটিও দেখা যায়নি। এটিকে অনেকেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করছেন।
এই ঘটনা কর্মক্ষেত্রের নৈতিকতা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং সামাজিক প্রতিক্রিয়ার মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনাগুলো কেবল ব্যক্তিগত বিশ্বাসঘাতকতা নয়, বরং কর্পোরেট পরিবেশে আস্থা ও নৈতিকতা নিয়েও সংকট তৈরি করে।
আরটিভি/এসআর