ভিয়েতনামের হা লং বে-তে পর্যটকবাহী একটি নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ বজ্রঝড় ও শিলাবৃষ্টির মধ্যে নৌকাটি উল্টে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন।
শনিবার (১৯ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে।
ভিএনএক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, নৌকাটিতে ৫৩ জন ছিলেন। এর মধ্যে ৪৮ জন যাত্রী ও ৫ জন নৌকাকর্মী। যাত্রীদের বেশির ভাগই হ্যানয় থেকে আসা পর্যটক পরিবারের সদস্য। তাদের মধ্যে ২০ জনের বেশি শিশু ছিল।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে আসে। এরপর শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি, বজ্রপাত, ঝড় আর ‘আঙুল সমান বড়’ শিলাবৃষ্টি।
হা লং বে অঞ্চলের সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানায়, তারা এখন পর্যন্ত ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া এক ১০ বছর বয়সী শিশু বলেন, ‘আমি একনাগাড়ে শ্বাস নিয়ে পানির নিচ দিয়ে সাঁতরে একটি ফাঁকা জায়গা খুঁজে বেরিয়ে আসি। পরে সেনাবাহিনীর একটি নৌকা আমাকে তুলে নেয়।’
এখনো অন্তত ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাতেও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ভিয়েতনামের আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের পরিচালক মাই ভান খিয়েম জানান, সাম্প্রতিক বজ্রঝড়টি দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থানরত ট্রপিকাল স্টর্ম উইফার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। তিনি বলেন, ওই অঞ্চলে গত কয়েক দিন ধরে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছে।
উল্লেখ্য, হা লং বে ইউনেস্কোর স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। ভিয়েতনামের অন্যতম জনপ্রিয় এই পর্যটনকেন্দ্রে প্রতিবছর লাখো পর্যটক ভিড় করেন সবুজ জলরাশি ও চুনাপাথরের দ্বীপপুঞ্জ দেখতে। সূত্র: বিবিসি, গালফ নিউজ
আরটিভি/এআর/এস
