রাজধানীতে ঈদ বকশিশের নামে চলছে চাঁদাবাজি

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪ , ০৮:০০ পিএম


চাঁদাবাজি
ছবি : সংগৃহীত

ঈদ বকশিশের নামে বিভিন্ন উপায়ে রাজধানীতে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি। বিভিন্ন এলাকায় ঈদ উপলক্ষে আলোকসজ্জার নামেও চাওয়া হচ্ছে চাঁদা। এর শিকার হচ্ছেন শিল্পপতি, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তি, ব্যবসায়ী, বাড়ির মালিক এবং দোকানদাররা। বকশিশের নামে হাসিমুখে এ চাঁদা চাওয়ায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগও করা যাচ্ছে না। অনেকে আবার বিপদে পড়ার আশঙ্কায় পুলিশের দ্বারস্থও হতে পারছেন না।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, ইসলামপুর কাপড়বাজার, কেরানীগঞ্জ কাপড়বাজার, খিলগাঁও তালতলা মার্কেট, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, এলাকায় মার্কেট ও ফুটপাতে ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের রোজার সময়ে এমনিতেই কাপড় কেনাবেচা কম হচ্ছে, তার ওপর ভর করেছে বকশিশ। এক ব্যবসায়ী বলেন, ভবিষ্যতে এই জায়গায় ব্যবসা করে খেতে হবে। এই কারণে থানা পুলিশের দ্বারস্থ না হয়ে নীরবে আবদার পূরণ করি।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর মিরপুরে ঈদ উপলক্ষে আলোকসজ্জার নামে কার্ড ছাপিয়ে বাড়ির মালিকদের কাছে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক বাড়ির মালিক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেন, এলাকা লাইটিং করার নামে আমার কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ৫০০ টাকা দিয়েছি।

ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হিসাবে রাজধানীতে প্রায় ১৪৭টি শপিংমল রয়েছে। তবে বাস্তবে এর সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে। আর এসব শপিংমলে অন্তত লাখখানেক ব্যবসায়ী ব্যবসা করেন। এসব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৫০ হাজার, এক লাখ টাকা পর্যন্ত চাঁদা নেওয়া হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী এবং কৌশলে বড় অঙ্কের চাঁদাবাজিতে যুক্ত প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস ভুক্তভোগীদের নেই। মূলত এ কারণেই নীরবে চাঁদাবাজি বিস্তার লাভ করছে।

বিজ্ঞাপন

গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, বিগত বছরগুলোর ঈদের তুলনায় এবারের ঈদে চাঁদাবাজদের উৎপাত একটু কম। বিশেষ করে টপটেররদের নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে টেলিফোনে চাঁদাবাজি অনেকটা কমে এসেছে। তবে সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে মাস্তানদের বকশিশ চাঁদাবাজি চলছে খুবই নীরবে।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বরদাশত করা হবে না। সব ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে সংকট কাটছে না।

এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের নীতি জিরো টলারেন্স। চাঁদাবাজসহ অন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধেও অভিযান চলমান রয়েছে।

 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission