বিশ্ব সাপ দিবস প্রতিবছর ১৬ জুলাই পালিত হয়। এটি সাপ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং তাদের সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরার একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। এই দিবসটি সাপের বৈজ্ঞানিক গুরুত্ব, তাদের বাস্তুতন্ত্রে ভূমিকা, এবং মানুষের মধ্যে সাপ সম্পর্কে ভুল ধারণা দূর করতে সহায়তা করে।
সাপকে সাধারণত ভয়ংকর ও বিপজ্জনক প্রাণী হিসেবে ধরা হয়, তবে প্রকৃতপক্ষে তারা নিরীহ ও পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। সাপ আমাদের প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩,৫০০ প্রজাতির সাপ রয়েছে, যার মধ্যে অনেকের বিষ মানুষের জন্য মারাত্মক হতে পারে।
বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর ছয়টি সাপের পরিচয় জানা যাক—
ইনল্যান্ড তাইপান
অস্ট্রেলিয়ার মরুভূমির এই সাপকে “ফিয়ার্স স্নেক” বলা হয়। এর বিষের মাত্রা অত্যন্ত কম মাত্রায় মানুষের শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। গড় দৈর্ঘ্য প্রায় ১.৮ মিটার।
ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক
অস্ট্রেলিয়ার কৃষিজ এলাকায় ব্যাপকভাবে দেখা যায়। এক কামড়েই শরীরের রক্ত জমাট বাধাতে পারে এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। দিনের বেলায় সক্রিয়।
কোস্টাল তাইপান
উষ্ণ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে, ২.৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর বিষ নিউরোটক্সিন এবং রক্ত জমাট বাধানোর ক্ষমতাসম্পন্ন। দ্রুত মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।
বেলচার্স সি-স্নেক
সমুদ্রের প্রবালপ্রাচীরে বাস করে, প্রায় ৮০ মিটার গভীরে। ১ মিটার লম্বা, হলুদ-সাদা দাগ বিশিষ্ট। কামড় খুব কম হলেও অত্যন্ত বিষধর।
ডুবোইস সি-স্নেক
অস্ট্রেলীয় গ্রেট-ব্যারিয়ার রিফের গভীরে বাস করে। ছোট মাছ ও চিংড়ি খায়। কামড় খুবই বিরল, তবে বিষের মাত্রা মারাত্মক।
কিং কোবরা
বিশ্বের দীর্ঘতম বিষধর সাপ, যা ৩.৭ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেশি পাওয়া যায়। একবারে প্রচুর বিষ ঢালতে সক্ষম এবং বিরল β-কার্ডিওটক্সিন দিয়ে হৃদস্পন্দন ব্যাহত করে। এটি সাপেদের শত্রু হিসেবেও পরিচিত।
বিশ্ব সাপ দিবস আমাদের শেখায়, সাপকে ভয় না পেয়ে তাদের সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং পরিবেশে তাদের গুরুত্ব বোঝা প্রয়োজন। সাপের প্রতি সম্মান ও সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে আজকের দিনটি বিশেষ।
আরটিভি/এসকে