গাড়ি বা বাইকে পেট্রোল ভরার সময় অনেকেই মিটারের দিকে তাকিয়ে থাকেন যেন কেউ ঠকাতে না পারে। প্রথমে দেখে নেন, মিটারে সব সংখ্যা শূন্য রয়েছে কি না। তবে এটাই কি সঠিক পদ্ধতি?
আপনি যত লিটার বা টাকার পেট্রোল বলবেন, পাম্পে থাকা কর্মী আপনার বাইক বা গাড়িতে সেই পরিমাণটাই ভরে দেবেন। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে প্রতারণা রুখতে পারেন আপনি।
প্রথমত, ১০০, ২০০ বা ৫০০ টাকার রাউন্ড ফিগারে পেট্রোল ভরবেন না। বেশিরভাগ পাম্প মালিকরা মেশিনে রাউন্ড ফিগার করে রাখেন, ফলে আপনি কম পরিমাণে পেট্রোল পেতে পারেন। বরং, রাউন্ড ফিগার থেকে কিছু টাকা বেশি বা কম নিতে পারেন।
আরও ভালো হয়, লিটারে হিসেব করে পেট্রোল ভরানো। যদি হাতে খুচরা না থাকে, তবে অনলাইনে পেমেন্ট করেও নিতে পারেন। সব পাম্পই এ ধরনের প্রতারণা করে না, তবে কিছু পাম্প এ ধরনের প্রতারণা করে। অনেক সময় ধরাও পড়ে।
আবার খেয়াল করলে দেখবেন কিছু বাইকার জ্বালানি তেল ভরতে ভিন্ন এক কৌশল খাটান। ফুয়েল ট্যাংকে পেট্রোল ও অকটেন ভরার সময় ১০০ টাকার পরিবর্তে ১১০ টাকা, ৫০০ টাকার বদলে ৫১০ টাকা কিংবা ১০০০ টাকার পরিবর্তে ১০১০ টাকার তেল ভরান। এরা সব সময় রাউন্ড ফিগার এড়িয়ে চলেন। যেমন পাম্প অপারেটরকে ৪৯৯ টাকা কিংবা ৯৯৯ টাকার তেলের অর্ডার দেন।
পেট্রোল ভরানোর সময় নিশ্চিত করুন, মেশিনের মিটার শূন্য সেট করা আছে কি না। মিটার রিডিং সব সময় 0.00 থাকা উচিত। পুরনো বা ডিজিটাল মেশিনের তুলনায় নতুন ডিজিটাল মেশিনগুলো বেশি নির্ভুল। প্রয়োজনে, ভেন্ডিং মেশিনের ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট চেক করতে পারেন।
পেট্রোল সবসময় শুধুমাত্র ডিজিটাল মিটারযুক্ত পাম্পে ভরানো উচিত। কারণ, পুরনো পেট্রোল পাম্পের মেশিনগুলোও পুরনো। ফলে সেইসব মেশিনে কম পেট্রোল ভর্তি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তেল ভরানোর সময় পেট্রোল পাম্প মেশিনের মিটার শূন্য সেট করা আছে কি না তা নিশ্চিত করুন।