চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। সোমবার শিল্পী সমিতিকে 'ব্যক্তিগত' কারণ দেখিয়ে এ পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
এদিকে মৌসুমীর পদত্যাগের ব্যাপারে মুখ খুলেছেন তার স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি হচ্ছে শিল্পীদের জন্য। এখানে প্রত্যেক শিল্পী সব সমস্যায় সবার পাশে থাকবে, ভালো কাজে উৎসাহ দেবে। কিন্তু কী হচ্ছে এখন শিল্পী সমিতিতে? এখানে এখন নিজেদের মাঝে কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে, সমিতি শিল্পীদের সম্মান রক্ষায় কোনো ভূমিকা রাখছে না।
ওমর সানী আরো বলেন, সম্প্রতি নায়করাজ রাজ্জাক সাহেবকে অপমান করা হয়েছে; কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বাপ্পারাজকে নিয়ে অনেক কিছুই হয়েছে বিগত দিনে, কিন্তু সেখানে কেউ কোনো কথা বলেনি। ব্যক্তি শাকিবকে নিয়ে আমার কিছু বলার নেই; কিন্তু শিল্পী শাকিব খানকে লাঞ্ছিত করা হলো, সেটারও কোনো প্রতিবাদ করা হয়নি। সদ্য কমেডি অভিনেতা চিকন আলীকে শুটিং স্পটে মারধর করা হলো, কোনো প্রতিবাদ করা হয়নি। তা হলে সেই সমিতির কার্যনিবাহী কমিটিতে থাকাটা কতটা যুক্তিসংগত হতো মৌসুমীর?
'কুলি' খ্যাত অভিনেতা বলেন, সমিতির পক্ষ থেকে যখন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গেলেন নবনির্বাচিতরা, তখন অনেককেই ইচ্ছাকৃতভাবে যেতে বলা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন সানী।
ওমর সানী বলেন, মৌসুমীকে বলা হয়নি। আমি বিষয়টি জানতে চেয়েছিলাম। তখন জায়েদ খান আমাকে বলেন, তিনি নাকি এসএমএস করেছিলেন। অথচ একটিবার ফোন করতে পারেননি। এত কিছুর পর এই সমিতির কার্যনির্বাহী পদে থেকে কী লাভ?
গেলো ৫ মে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান জয়লাভ করেন। মৌসুমী ওমর সানী-অমিত হাসান প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদে নারী প্রার্থীদের মধ্যে সবচে' বেশি ভোট পান চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ৩৪৯ ভোট পান তিনি।
এইচএম