হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের সহযোগী দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি বুধবার রাতেই কার্যকর করা হবে। জানালেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ ছগির মিয়া।
তিনি বলেন, রিপনের ফাঁসির সব প্রস্তুতি শেষ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। দণ্ড কার্যকরের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০ জল্লাদকে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রিপনের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের চিঠি সিলেট কারাগারে পৌঁছায়। এরপর দুপুরে তার সঙ্গে দেখা করেন বাবা আবদুল ইউসুফ, মা আজিজুন্নেছা, ভাই নাজমুল ইসলাম ও স্ত্রী।
২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশসহ ৩ জন নিহত হন। আহত হন আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ কমপক্ষে ৪০ জন।
পরে এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করে পুলিশ। বিচার কাজ শেষে ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামীম মোহাম্মদ আফজাল মুফতি হান্নানসহ ৩ জঙ্গির ফাঁসির রায় দেন। দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
পরে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। গেলো বছরের ৭ ডিসেম্বর মুফতি হান্নানসহ ৩ আসামির আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। মুফতি হান্নান ছাড়া মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর দু’আসামি হলেন শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন।
এরপর গেলো ১৭ জানুয়ারি মুফতি হান্নানসহ ৩ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রেখে আপিল বিভাগের পুর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৪ সদস্যের সইয়ের পর সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬৫ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়।
এর বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করে আসামি পক্ষ। গেলো ১৯ মার্চ আবেদন খারিজ করে রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। ২১ মার্চ রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট।
এইচটি/এমকে
