প্লাস্টিক পণ্যে ভ্যাট ও কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০৫ জুন ২০১৭ , ০৮:৩৮ পিএম


প্লাস্টিক পণ্যে ভ্যাট ও কর প্রত্যাহার চান ব্যবসায়ীরা

সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক পণ্যর ওপর ভ্যাট ও কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে প্লাস্টিক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিপিজিএমএ।

বিজ্ঞাপন

সোমবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে বিপিজিএমএ কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

লিখিত বক্তব্যে বিপিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিক খাতের কিছু প্রস্তাব উপেক্ষিত হয়েছে। ফলে প্লাস্টিক খাতের অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। বিপুল সম্ভাবনাময় দেশীয় খেলনা শিল্পে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপের ফলে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন,  গ্রামগঞ্জের দরিদ্র মানুষ প্লাস্টিকের ক্রোকারিজ পণ্য ব্যবহার করে। এসব পণ্য উৎপাদন, সরবরাহকারী ও ভোক্তা শ্রেণি প্রত্যেকেই নিম্ন আয়ের অতি দরিদ্র ও স্বল্প শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। ভ্যাটের হিসেব সংরক্ষণের জন্য ইসিআর মেশিন ব্যবহারের দক্ষতাও তাদের নেই। এ শিল্পে মূসক নেয়া হলে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হয়ে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। বিদেশি নিম্নমানের পণ্য দেশে সয়লাব ও দেশীয় শিল্প ধ্বংস হবে।

বিপিজিএমএ সভাপতি বলেন,  উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চ আয়ের মানুষের ব্যবহৃত রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজ, এয়ার কন্ডিশনার সরবরাহকারীকে ভ্যাট অব্যাহতির তালিকায় রাখা হয়েছে। কিন্তু নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যবহার্য প্লাস্টিক রি-সাইক্লিংয়ে মূসক ধার্য হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

সভাপতি আরো বলেন, দেশীয় কাঁচামাল, মেশিন, নিজস্ব মেধা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি প্লাস্টিক ও রাবারের হাওয়াই চপ্পল ও প্লাস্টিক পাদুকায় ১২০ টাকার ওপর ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বাজেটে প্রত্যাহার করা হয়েছে। হাওয়াই চপ্পল, পাদুকা (জুতা, স্যান্ডেল, সোল) শ্রমজীবী ও গরীব মানুষ ব্যবহার করেন। অনুপযোগী পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ও রাবারের ছেড়া জুতা, স্যান্ডেলের ফিতা ও অন্যান্য প্লাস্টিক সামগ্রী রি-সাইক্লিং করে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করে এই পাদুকা তৈরি হয়। পরিত্যক্ত প্লাস্টিক ও রাবারের রি-সাইক্লিং না হলে ড্রেন, নর্দমা ভরাট হতো; কৃষিকাজ, বৃক্ষরোপন ব্যাহত হতো।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আগে খেলনা জাতীয় পণ্য আমদানি নির্ভর ছিল। কিন্তু বর্তমানে দেশে উৎপাদিত খেলনা পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে স্বল্পহারে রপ্তানি হচ্ছে। প্রস্তাবিত বাজেটে খেলনা শিল্পে ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করা হয়েছে। এর ফলে চীন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনামের নিম্নমানের পণ্য বাংলাদেশের খেলনার বাজার দখল করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া ক্রোকারিজ পণ্যে নতুন ভ্যাট আইনে মূসক অব্যাহতি আরও ৫ বছর বহাল রাখা, প্লাস্টিক শিল্প সুরক্ষায় পোশাক খাতের মতো কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো, ভ্যাটমুক্ত টার্নওভার সীমা ৫ কোটি টাকা নির্ধারণ, টার্নওভার কর ৩ শতাংশ করা, ব্যাংক আমানতে আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন মো. জসিম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিপিজিএমইএর সাবেক সভাপতি মো. ইউসুফ আশরাফ, এ.এস.এম. কামাল উদ্দিন, ফেরদেৌস ওয়াহিদ, শাহেদুল ইসলাম হেলাল, সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মো. গোলাম কিবরিয়াসহ অনেকে।

এমসি/জেএইচ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission