শুধু আপন জুয়েলার্সই নয়, আরো বেশ কয়েকটি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানালেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মইনুল খান।
মঙ্গলবার দুপুরে কাকরাইলে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব একথা বলেন।
মইনুল আরো বলেন, বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানি না হলেও জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও আপন জুয়েলার্সের মতো এমন কয়েকটি জুলেয়ারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আমরা সেসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাজেয়াপ্ত ৫৬৭ কেজি স্বর্ণের মধ্যে ২৯ কেজি গ্রাহকের অর্ডার করা। তাদের সে স্বর্ণ ফেরত দেয়ার জন্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রয়োজনে প্রত্যেক গ্রাহকের সঙ্গে আলাদাভাবে যোগাযোগ করে তাদের স্বর্ণ ফিরিয়ে দেয়া হবে।
শুল্ক কর্তৃপক্ষ, বাজুস ও আপন জুয়েলার্স মিলে পাঁচ সদস্যের সমন্বয়কারী কমিটি গঠন করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। কমিটির সদস্যরা হলেন- শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের যুগ্ম কমিশনার সাফিউর রহমান, উপ-পরিচালক মো. জাকির হোসেন ও এসএম শরিফুল হাসান, বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস) ও আপন জুয়েলার্সের একজন করে প্রতিনিধি। কমিটি গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের স্বর্ণ কীভাবে বুঝিয়ে দেয়া যায় সে বিষয়ে আগামি ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আর/জেএইচ