সাতক্ষীরার শ্যামনগরে বিরোধপূর্ণ একটি মৎস্য ঘের দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার রামজীবনপুরের কেয়াতলা এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- আব্দুল মালেক গাজী (৫০), আরিফুল ইসলাম (১৫), আরিফুল ইসলাম (২৮) এবং আবু সাঈদ (১৫)। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়; পরে তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তারা সবাই রামজীবনপুর ও কেয়াতলা এলাকার বাসিন্দা।
আটককৃতরা হলেন- পুরাতন সাতক্ষীরার আক্কাজ গাজীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৫), একই এলাকার মো. আলীর ছেলে আমানুল্লাহ ইমন (২৩), দেবহাটা উপজেলার সখিপুর এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন (২২) এবং নোয়াকাটি এলাকার লতিফ সরদারের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন (২০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামজীবনপুর গ্রামের আব্দুল গফুর সরদারের ছেলে শাহাজান দীর্ঘদিন ধরে কেয়াতলার একটি বিলে প্রায় ১৬ বিঘা মৎস্য ঘের জোরপূর্বক দখল করে রেখেছিলেন। তবে উচ্চ আদালতের রায় নিজেদের অনুকূলে দাবি করে একই এলাকার সোহেল রেজা ফরেজসহ তার পরিবার সম্প্রতি ওই জমি দখল নেয়। শনিবার শাহাজান বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ঘেরটি দখলের চেষ্টা করেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে শাহাজানের লোকজন গুলি চালায় এবং চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
আব্দুল মালেক গাজীর ভাগনে আরিফুল ইসলাম বলেন, সমস্ত কাগজপত্র আমাদের অনুকূলে। বিগত সরকারের সময়ে আওয়ামী লীগ নেতা শাহাজান ও তার লোকজন জমি দখল করে রাখে। পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে আমরা জমি ফিরে পাই। কিন্তু শনিবার শাহাজান অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে পুনরায় দখলের চেষ্টা করে।
অপরদিকে, পুলিশের হাতে আটক আশরাফুল ইসলাম দাবি করেন, জমি মূলত আমাদের। আব্দুল মালেক গাজী জোর করে জমি দখল করে রেখেছেন। আমরা জমি উদ্ধারে গেলে স্থানীয়রা আমাদের ওপর হামলা করে। কে গুলি করেছে, তা আমরা জানি না।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা বলেন, ঘটনার পরপরই ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, শটগান থেকে গুলি ছোড়া হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরটিভি/এমকে