রাজশাহীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুই মাথাওয়ালা এক কন্যা নবজাতকের জন্ম হয়েছে।
শনিবার (২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে রাজশাহী মহানগরী খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালে নবজাতকটি সিজারের মাধ্যমে জন্ম হয়।
পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই জোড়া মাথাওয়ালা নবজাতক শিশুটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
দুই মাথাওয়ালা নবজাতকের বাবার নাম গোলাম আজম এবং মায়ের নাম সুমাইয়া। তাদের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার বিল্লি বাজার এলাকায়। এই দম্পতির প্রথম সন্তান এটি।
বিষয়টি জানাজানি হলে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায় রামেকের ২৬ নম্বর শিশু ওয়ার্ডে। এ সময় শিশুটির মাথা থেকে ঘাড়ের অংশটি আলাদা। তবে শরীর একটাই দেখা যায়।
ওই নবজাতকের পরিবারের সদস্যরা জানান, এক বছর আগে আজম ও সুমাইয়া এই দম্পতির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এটি ছিলো তাদের প্রথম সন্তান। সন্তান পেটে আসার পর থেকে মা সুমাইয়া নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে চেকআপ করাতেন। বেশ কয়েকবার আল্ট্রাসনো করেছেন। তখনো তারা জানতেন না তার গর্ভে দুই মাথাওয়ালা নবজাতক শিশু রয়েছে। পরবর্তীতে শনিবার নবজাতকটির জন্ম হলে এক নজর দেখার জন্য খ্রিস্টান মিশন হাসপাতালে মানুষের ভিড় জমতে থাকে।
নবজাতকটির সঠিক চিকিৎস্বার্থে হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে ভিড় না করার অনুরোধ জানান পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, এ ধরনের নবজাতকের ক্ষেত্রে আগামী ৪৮ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে নবজাতকটির শ্বাসকষ্ট রয়েছে। বর্তমানে নবজাতকটি গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছে।
তবে গাইনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুটি হয়তো জমজ ছিল। কিন্তু কোনো কারণে মাতৃগর্ভে সঠিকভাবে শারীরিক বিকাশ না হওয়ায় একটি শরীরের সঙ্গে অন্য শরীর জোড়া যায়। অনেক সময় এটি হয়ে থাকে। আর সেই কারণেই শিশুটি জোড়া অবস্থায় গর্ভে বড় হয়েছে এবং জন্ম নিয়েছে।
আরটিভি/এমকে