ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বাড়ি দখল করতে ধন মিয়া (৭৮) নামে এক বৃদ্ধকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের তারাউলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ওসি আজহারুর ইসলাম।
জানা যায়, আহত ধন মিয়া ওই এলাকার মৃত কনাই মিয়ার ছেলে। রাতে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। পরে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনায় অভিযুক্ত মাসুক মিয়া ভুক্তভোগী ধন মিয়ার প্রথম স্ত্রীর তৃতীয় ছেলে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আহত ধন মিয়া বলেন, আমার দুই স্ত্রীর দুই সংসার। প্রথম স্ত্রীর ঘরে ৫ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে আছে। আমি ঐতিহ্যগতভাবেই কৃষিজীবী। আমার দুই স্ত্রীর ৭ ছেলেকে আলাদাভাবে ৭টি বাড়ি দিয়েছি। আমি থাকি ছোট স্ত্রীর সঙ্গে একটি বাড়িতে। আমার প্রথম স্ত্রীর তৃতীয় ছেলে মাসুক মিয়া উচ্ছৃঙ্খল প্রকৃতির। তার নামে মামলাও রয়েছে। তাকে দান করা বাড়িতে নিজে বাড়ি না করে আমার বসবাস করা বাড়ি অর্ধেক দখলে নিয়েছে। সে পুরো বাড়ি দখল করে নিতে চায়। এ নিয়ে সোমবার সকালে তার সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে স্থানীয় মসজিদের সামনে আমাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। আমার হাত ও পায়ে কুপিয়েছে। পরে আমার ছোট স্ত্রীর দুই ছেলেসহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
আহত ধন মিয়ার ছেলে আশিক মিয়া বলেন, ‘আমার ভাই মাসুক মিয়া বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও মেরে তার হাত ও পায়ের হাড় ভেঙে দিয়েছে এবং পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।’
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মাসুক মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রমা সার্জন ডা. মো. সোলায়মান মিয়া বলেন, বৃদ্ধ ধন মিয়ার হাত-পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। এ ছাড়াও হাত ও পায়ের একটি করে রগ কেটে গেছে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে। উনাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ওসি আজহারুর ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমরা অবগত হয়েছি। এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এমকে/এস
