কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার পীর কাশিমপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
এদিকে বিএনপি নেতা শাহ আলমকে কালো গ্লাসের মাইক্রোবাসে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে দল এবং পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলেও ডিবি পুলিশ জানায়, ট্রিপল মার্ডার মামলায় জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।
ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৩ জুলাই মুরাদনগর উপজেলার কড়ইবাড়ী এলাকায় মব সৃষ্টি করে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আলোচিত ওই ট্রিপল মার্ডার মামলায় বিএনপি নেতা শাহ আলমের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্ত এবং নানা দিক বিশ্লেষণ করেই শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা শাহ আলমের ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ সরকার মুন্না বলেন, ‘পীর কাশিমপুর গুলশানে চিশতিয়া মসজিদের সামনে থেকে বাবাকে তুলে নেওয়ার পর কয়েক ঘণ্টা উৎকণ্ঠায় ছিলাম। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। থানায় খোঁজখবর নিয়েও কোনো তথ্য পাইনি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবা ডিবি অফিস থেকে একজনের মোবাইলে ফোন করে জানান, ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।’
মুন্না বলেন, ‘আমার বাবাকে সম্প্রতি এলাকার ট্রিপল মার্ডার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর কথা শুনেছি। এ মামলার এজাহারে ২৫ নম্বরে থাকা যে শাহ আলম আছেন তার বয়স ৪৫ ও বাবা অজ্ঞাত উল্লেখ আছে।’
মুন্নার বলেন, ‘আমার বড় বোনের বয়স ৪০। আমার বাবা চেয়ারম্যান ছিলেন। তার বয়স ও বিস্তারিত পরিচয় এলাকার সবাই জানেন। তিনটা হত্যা করে কারও এলাকায় অবস্থানের কথা নয়। এ ছাড়া গ্রামে ৮ থেকে ১০ জন শাহ আলম রয়েছেন।’
এ সময় তিনি তার বাবার মুক্তি দাবি করেন।
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘শাহ আলমকে তুলে নেওয়া হয়নি। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে জানানো হবে।’
আরটিভি/এমকে/এস