নোয়াখালীর সেনবাগে এক রাতে তিনটি বাড়িতে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযানে লুন্ঠিত ৯০ হাজার টাকা, একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তি হলেন—সেনবাগ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের ইয়ারপুর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে শহিদ মিয়া (৩৩) এবং পাশ্ববর্তী সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা গ্রামের সুখ মিয়ার ছেলে দ্বীন ইসলাম ওরফে স্বপন (৩৮)।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মুখোশধারী একদল ডাকাত কাবিলপুর ইউনিয়নের পূর্ব কাবিলপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার হুমায়ুন কবিরের বাসায় হামলা চালায়। ডাকাতরা বসতঘরের বেলকনির প্লাস্টিকের দরজার চিটকিনি ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ও দুটি স্মার্টফোন লুটে নেয় তারা।
একই রাতে ডাকাত দল কাবিলপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল হক চেরাজের মইজদীপুর গ্রামের বাড়িতে হানা দেয়। ভোররাত আড়াইটার দিকে দরজা ভেঙে প্রবেশ করে তারা পরিবারের শিশুকে জিম্মি করে ৮ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
এছাড়া কাবিলপুর গ্রামের কামাল পাটোয়ারীর বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা চালায় একই দল। তবে ওই বাড়ির প্রবাসী ছেলে কুয়েত থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় ঘটনা দেখে পরিবারের সদস্যদের ফোনে জানালে তারা চিৎকার শুরু করে, এতে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির সেনবাগ থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, পাঁচটি টর্চলাইট, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি দা, একটি লোহার শাবল, একটি লোহার রড ও দুটি ছুরি।
গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাত দলের আরও এক সদস্য শাহাদাত হোসেন ওরফে রিমনের অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ। তবে বেগমগঞ্জ উপজেলার করিমপুরে অভিযান চালালে রিমন পুকুরে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মিজানুর রহমান বলেন, ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এছাড়া লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টাও অব্যাহত রয়েছে।
আরটিভি/এএএ