নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ সোহেল মিয়া (৩৭) নামে এক শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান।
গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মিয়া (৩৭) উপজেলার সায়দাবাদ এলাকায় নুরুল ইসলামের ছেলে। গৃহবধূ শান্তা ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আলোচনায় আসেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেল। এরপর থেকেই তাকে গ্রেপ্তারের অভিযান চালায় পুলিশ।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদে পূর্ব শত্রুতার জেরে হানিফ মাস্টার গ্রুপ এবং এরশাদ গ্রুপ এর মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এরপর সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং র্যাব এর সমন্বয়ে ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মেঘনা নদী থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ঘটনাস্থল থেকে ১টি এসবিবিএল একনালা বন্ধুক, ৪টি একনালা দেশীয় তৈরী বন্ধুক, ২টি সিলভার কালারের ম্যাগজিন, ৩০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৪ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১২টি শর্টগানের শীসা কার্তুজ, ৩টি মোবাইল ফোন, ইউএস ডলার ও নগদ অর্থসহ ১টি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী সোহেলের বিরুদ্ধে ৪টি হত্যা মামলা, ২টি অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে আরও ৬টি মামলাসহ সর্বমোট ১২টি মামলা রয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেন ৫৬ ইবি নরসিংদী আর্মি ক্যাম্পের মেজর ইব্রাহীম আব্দুল্লাহ আসাদ, পুলিশের নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বায়েজিদ বিন মনসুর, র্যাবের নেতৃত্ব দেন নরসিংদী র্যাব ক্যাম্প কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জুয়েল রানা।
ঘটনাস্থলে পুলিশের নজরদারি অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
আরটিভি/এমকে