গাজীপুরের কালীগঞ্জে গরু চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনিতে গরু চোরদলের এক সদস্য শান্ত (২০) নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছে। আহত তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শান্ত (২০) নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার বালুচর গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের ছেলে। আহতরা হলো- কালীগঞ্জের মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়হরা (বড্ডা) গ্রামের মৃত হাফিজুল্লাহর ছেলে রিফাত (১৯), বক্তারপুর ইউনিয়নের ভাটিরা গ্রামের মৃত ইসমাইলের ছেলে রুবেল (২৮) এবং তুমুলিয়া ইউনিয়নের বান্দাখোলা গ্রামের আনিল চন্দ্রের ছেলে (নওমুসলিম) আবদুল্লাহ (২৭)।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে রামচন্দ্রপুর গ্রামের শামসুদ্দিন মোল্লার গোয়ালঘরে ৮/১০ জনের একদল গরুচোর হানা দেয়। টের পেয়ে শামসুদ্দিন মোল্লা ডাক চিৎকার শুরু করে। এলাকাবাসী তার চিৎকার শুনে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে চোরদের ধাওয়া করে ৪ জনকে আটক করে। উত্তেজিত এলাকাবাসী তাদের গণপিটুনি দিলে শান্ত নামে একজন ঘটনাস্থলেই নিহত এবং অপর ৩জন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সকালে ঘটনাস্থলে থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া নিয়ে যায়। সেখান থেকে গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শামসুদ্দিন মোল্লা বলেন, সম্প্রতি জেলার কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনদিন আগে আমার একটি গরু গোয়ালঘর থেকে চুরি হয়েছে। এরপর থেকে আমি নিজেই গোয়াল ঘরে থেকে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি। মঙ্গলবার ভোরে একদল গরুচোর গোয়ালঘরে ঢুকে পড়লে চিৎকার শুরু করি। গ্রামবাসী চোরদলের চারজনকে আটক করলে উত্তেজিত জনতা তাদের পিটুনি দেয়।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলাউদ্দিন বলেন, গ্রামবাসী চারগরু চুরকে আটক করে গণপিটুনি দিলে একজন মারা গেছে। আহত ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরটিভি/এএএ