গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার মরদেহ দাফনের ৫ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১০টায় নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করলে আদালত নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান।
জানা যায়, বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি ও রন্টি পোদ্দারের উপস্থিতিতে জেলা শহরের পৌর কবরস্থান থেকে নিহত ইমন তালুকদার ও রমজান কাজীর মরদেহ উত্তোলন করা হয়। টুঙ্গিপাড়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মারুফ দস্তেগীরের উপস্থিতিতে নিহত সোহেল রানার মরদেহ দক্ষিণ টুঙ্গিপাড়া কবরস্থান থেকে উত্তোলন করা হয়। এ সময় নিহতের পরিবারের সদস্যসহ সদর ও টুঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা আজ আদালতে নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলনের আবেদন করেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষ করে মাদারীপুর ফেরার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও দুষ্কৃতকারীদের সাথে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়। নিহতরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের উদয়ন রোডের বাসিন্দা দীপ্ত সাহা (২৫), বিসিক এলাকায় রমজান কাজী (১৮), টুঙ্গীপাড়ার সোহেল রানা (৩০) ও গোপালগঞ্জ সদরের ভেরারবাজারের ইমন তালুকদার (২৪) ও শহরের নতুন বাজার এলাকার রিকশাচালক রমজান মুন্সি। ঘটনার দিন রাতেই নিহত রমজান কাজী, ইমন তালুকদার ও সোহেল রানার দাফন সম্পন্ন করে। এছাড়াও নিহত দীপ্ত সাহার সৎকার সম্পন্ন করা হয়।
আরটিভি/এমকে