ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলার অভিযোগে ১ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন রোগীর স্বজনরা।
শিশুটির নাম রাফি। সে ময়মনসিংহ নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের সুতিয়াখালি এলাকার রাকিবুল ইসলামের ছেলে।
শিশুটির চাচা ইমতিয়াজ হোসেন রাজন বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পরে শুধুমাত্র শিশুটিকে ইনহেলার ও একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়।
সকালে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তারকে বারবার ডাকা হলেও তারা সাড়া দেননি। পরে ডাক্তার ৩টি পরীক্ষা লিখে দেয়। পরীক্ষাগুলো হলো – সিবিসি, সিআরপি ও সিআরএস। তবে এ পরীক্ষাগুলো করা হলেও এখনো রিপোর্ট হাতে পাওয়া যায়নি।
ইমতিয়াজ আরও অভিযোগ করেন, শনিবার বিকেল ৪টার দিকে শিশুটির শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে আরও একটি ইনজেকশন দেয় ডাক্তার। এরপর শিশুটি মারা যায়।
শিশুটির বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, চিকিৎসায় অবহেলার শিকার হলে আমরা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাই। এজন্য আমরা তাদের কাছ থেকে ছাড়পত্র চাই। এতে ডাক্তার ও নার্সরা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে। শুক্রবার রাতে যে ইনজেকশন দেওয়ার ফলে শরীর খারাপ হয় শনিবার একই ইনজেকশন তারা আবার দেয়। পরে বাচ্চাটির মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ভুল চিকিৎসায় ও অবহেলাজনিত কারণে আমার বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।
এ সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে রোগীর স্বজনরা মিলে বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম জানান, রোগীর স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। পরে খবর পেয়ে আমরা এসে তাদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের উপপরিচালকের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন। তবে এ ঘটনায় তারা কোনো মামলা করবেন না বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. জাকিউল ইসলাম বলেন, শিশুটি হাসপাতালের ৩০ নং ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল। শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে নিয়ে বৈঠকে কথা বলেছি।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল শিশুটির স্বজনরা অফিসে আসবেন। তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এএএ/এস
