পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মো. মঞ্জুর মোর্শেদ মুবিন (২৩) নামে এক কর্মী নিহতের ঘটনায় দুদিন পর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) নিহত মুবিনের ভাই মো. মিনহাজুল আবেদীন মুহীত বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া থানায় এ মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মামলায় মো. রফিকুল ইসলাম রনি (৩১), তিহাম আকনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত মঞ্জুর মোর্শেদ মুবিন মঠবাড়িয়া বণিক সমিতির সভাপতি ও পল্লী চিকিৎসক মো. ইদ্রিস আলী মহারাজের ছেলে। তিনি উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার আপন ভাগনে। গত বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও একটি মোবাইল ফোনের মালিকানা নিয়ে ছাত্রদলের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে রনি (২০), ফাহাদ (১৮), তানজিল (১৮) সহ ৬-৭ জন মিলে অপর পক্ষের কর্মী শামীম (২৩) ও মুবিনকে (২৩) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। আহতদের প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে মুবিন মারা যান।
এ ঘটনায় অপর আহত ছাত্রদল কর্মী তামিম (২৩) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ছাত্রদল কর্মী নিহতের ঘটনায় তার ভাই বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালছে।
আরটিভি/এমকে