দিনাজপুরের হিলি সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পান চাষির সংখ্যা। গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর পানের ভালো ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে পান চাষের উপকরণগুলোর দাম বেড়েছে। ফলন ভালো হলেও দাম না পেয়ে প্রতিনিয়ত কমদামে পান বেচে হতাশ হয়ে পড়ছেন পান চাষিরা। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।
হিলি কয়েকজন কৃষক বলেন, হিলিতে গত বছরের তুলনায় এবার পানের বরজ বৃদ্ধি পেয়েছে। পান চাষে সফলতা পেয়ে এখানকার চাষিরা স্বাবলম্বী হয়েছেন। তবে এবার ভরা মৌসুমে বাজারে পানের দাম কমে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। হিলির বাজারে সপ্তাহে বৃহস্পতিবার এবং শনিবার দুইদিন করে বসে পানের বড় হাট। এ ছাড়াও প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে বসে সবচেয়ে বড় হাট। এসব হাটে পানের পাতা গুনে টাকা নিয়ে যেত কৃষকরা। সঙ্গে ছিল সচ্ছলতার স্বপ্ন।
তারা আরও বলেন, পানগাছ কার্তিক মাসের শেষে লাগানো হয়। গাছ লাগানোর ৬-৭ মাস পর থেকে পান বিক্রি করা যায়। বিঘাপ্রতি পানচাষে খরচ হয় প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ টাকা। এক বিঘা জমির বরজ থেকে আয় হয় প্রায় ২ লাখ টাকা। কিন্তু বর্তমানে পানের ফলন ভালো হলেও দাম না পেয়ে হতাশ কৃষকরা।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম বলেন, কাঁচামালের বাজার প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে। এ কারণে হতাশ হওয়া চলবে না। এ সময় পানের বাজার একটু কম থাকলেও অন্য সময় চাষিরা যে দাম পান তাতে তাদের লোকসান পুষিয়ে যায়। এবার হাকিমপুর উপজেলাতে ৪০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। হতাশ না হয়ে কৃষকদেরকে লাভজনক পানচাষ ধরে রাখার আহ্বান জানান তিনি।
আরটিভি/এএএ -টি