দিনাজপুরের খানসামায় স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া নিয়ে ঝগড়ায় লাবনী আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুবলিয়া দোলাপাড়া গ্রামে শয়নকক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক।
জানা যায়, লাবনী ওই এলাকার সাইদুল ইসলামের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে। লাবনীর বাবার নাম মো. মোস্তাকিম।
স্থানীয়রা জানান, পরকীয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ ও মনোমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পরিবারের মাধ্যমে মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। সম্প্রতি লাবনী আক্তার ২০ দিন ধরে স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিলেন। পরে তার খোঁজ মিললে পার্শ্ববর্তী সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যস্থতায় গত ১৩ জুলাই স্বামী সাইদুল ইসলাম তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরদিন সকালে স্বামী কর্মস্থলে (ফতেজংপুর ইপিজেড) চলে গেলে, লাবনী নিজ কক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে শাশুড়ি ডাকাডাকির পর কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে আসেন।
এ বিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ঘটনাটির প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, পারিবারিক কলহ ছিল বলে জানা গেলেও পরকীয়ার বিষয়টি তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আরটিভি/এমকে/এস