ঝালকাঠিতে শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ঝালকাঠি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ এলাকা থেকে মোবারক আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) মো. সেলিম উদ্দিন।
এর আগে ঝালকাঠি সদর উপজেলার পূর্ব গুয়াটন এলাকায় তালগাছ কেটে হত্যার ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
জানা যায়, শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ও প্রজননের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল তালগাছটি শুক্রবার বিকেলে একদল পাষণ্ড ব্যক্তি কেটে ফেলে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুর রহমান বলেন, বাবুই পাখি হত্যার বিষয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ঝালকাঠি সদর থানায় মোবারক আলী, মিজানুর রহমান এবং ফারুক হোসেনকে আসামি করে ৩৭৯ নম্বর ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, গত ২৭ জুন ঝালকাঠি সদর থানাধীন শেখেরহাট ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াটন এলাকায় একটি তালগাছ কাটা হয়। ওই গাছের ডগায় ডগায় পাতার সঙ্গে ঝোলানো ছিল বহু বাবুই পাখির বাসা। এসব বাসায় ছিল শতাধিক ছানা ও ডিম। কিছু দুষ্কৃতকারী তালগাছটি কাটার ফলে পাখির ছানা ও ডিম পানিতে পড়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক কিছু পাখি উড়ে গেলেও শতাধিক ছানা মারা যায় এবং ডিমগুলো ভেঙে যায়। এই গাছটি ছিল ওই এলাকার বাবুই পাখির আশ্রয় ও প্রজননস্থল। ফলে গাছ কেটে শতাধিক বাবুই পাখির ছানা হত্যার অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। পরবর্তীতে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
তিনি আরও বলেন, ২৯ জুন ওই বিষয়ে মামলা রুজু হওয়ার পর বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজির নির্দেশনায় ঝালকাঠি জেলার পুলিশ সুপারের পরিকল্পনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি দল মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহার নামীয় প্রধান আসামি মো. মোবারেক আলী ফকিরকে (৬৫) পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তিনি গুয়াটন এলাকার মৃত মোসলেম আলী ফকিরের ছেলে।
আসামিকে আদালতে প্রেরণ এবং ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান ডিবি ওসি।
আরটিভি/এমকে