জয়পুরহাটে বিএনপি-জামায়াতপন্থীদের সংঘর্ষ

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

সোমবার, ২৬ মে ২০২৫ , ১০:৫৪ এএম


ভিজিএফের কার্ড নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত ৭
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ভিজিএফের কার্ড বিতরণ নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপি ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রশিবিরের উপজেলা সভাপতিসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। রোববার উপজেলার আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৬ মে) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন।

জানা যায়, সংঘর্ষে ক্ষেতলাল উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী (২৫) ও আলমপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জুয়েল ফকির (৪৫) আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত অন্যদের মধ্যে রয়েছেন রাজু (২৫), মাসুদ (৩৭), ছাব্বির হোসেন (১৮), শিহাব (১৮) ও আবু কাশেম (৪৭)। তবে তাদের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক হাজার ৫১২টি বিশেষ ভিজিএফ কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিতরণের জন্য বিএনপি, জামায়াত ও ছাত্রনেতাদের কিছু কার্ড দেওয়া হয়। বাকি কার্ড বিতরণের জন্য ইউপি সদস্যদের দেওয়া হয়। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুল মতিন মারা যাওয়ায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আম্মাদ হোসেনকে ওই ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৫০ জন সুবিধাভোগীর তালিকা করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দেন। ভিজিএফের সুবিধাভোগীদের ওই তালিকা সঠিকভাবে করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে তারা রোববার সকালে ইউপি কার্যালয় এসে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোছা. হোসনে আরার সঙ্গে কথা বলেন। এ নিয়ে ইউপি কার্যালয়ের বাইরে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উপজেলা শিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলীকে গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোছা. হোসনে আরা বলেন, ঈদুল আজহার জন্য এক হাজার ৫১২টি বিশেষ ভিজিএফের কার্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়। তারা স্থানীয় প্রশাসনের পরার্মশে কিছু কার্ড বিএনপি, জামায়াত ও ছাত্রনেতাদের নিয়ে সমন্বয় করেছেন। রোববার জামায়াতের লোকজন ইউপি কার্যালয়ে এসে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সঠিকভাবে কার্ড বিতরণ হয়নি বলে অভিযোগ করেন। তারা বিতরণের জন্য কার্ড দাবি করেন। এরপর ইউপি কার্যালয়ের বাইরে বিএনপি ও জামায়াতের লোকজনের মধ্য মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার ওসি মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন বলেন, আলমপুর ইউনিয়নে ভিজিএফের কার্ড বিতরণ নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এমকে/এআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission