বিচারক নিয়োগ নীতিমালা রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২২ মে ২০১৭ , ০৯:০৬ পিএম


বিচারক নিয়োগ নীতিমালা রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ

সুপ্রিমকোর্টের বিচারক নিয়োগের নীতিমালা নিয়ে রিট মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

সোমবার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে ৪৬ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়।

গেলো ১৩ এপ্রিল পর্যবেক্ষণসহ রুলের নিষ্পত্তি করে রায় দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বিজ্ঞাপন

বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা আনতে সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের ৩০ মে রিট করেন অ্যাডভোকেট রাগীব রউফ চৌধুরী।

২০১০ সালের ৬ জুন রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. ইমান আলী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে বাছাই প্রক্রিয়ায় ‘স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা’ আনতে কেন সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা তৈরি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়। সেদিনই আদালত মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে।

বিজ্ঞাপন

শুনানিকালে মামলায় অ্যামিকাস কিউরি দেশের সাতজন বিশিষ্ট আইনজীবীর মতামত নেন আদালত। তারা হলেন কামাল হোসেন, রফিক-উল হক, মওদুদ আহমদ, রোকন উদ্দিন মাহমুদ, আজমালুল হোসেন কিউসি, শফিক আহমেদ ও এ এফ হাসান আরিফ। রিট আবেদনকারীর পক্ষে মামলায় শুনানি করেন আইনজীবী হাসান এম এস আজিম ও মির্জা আল মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে ন্যস্ত হয়েছিল।

পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ন্যস্ত হয়। প্রধান বিচারপতি ও অপর দুজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নিয়ে জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হয়।

২০১২ সালে সড়ক ভবনকে কেন্দ্র করে আদালতের একটি রায় নিয়ে সংসদে বিরূপ সমালোচনা হলে একজন বিচারক সংসদ ও স্পিকারকে নিয়ে মন্তব্য করলে সে সময় সংসদ সদস্যদের অনেকেই বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে আনার দাবি তোলেন। এ নিয়ে স্পিকার পরে একটি রুলিংও দেন।

২০১৪ সালের ষোড়শ সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ন্যস্ত করা হয়। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও বিলের পক্ষে ভোট দেয়।

কে/ এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission