পশুর লাথিতে ও কোরবানি দিতে গিয়ে দুই দিনে আহত ৬৪১

আরটিভি নিউজ

রোববার, ০৮ জুন ২০২৫ , ০৫:৫৪ পিএম


পশুর লাথিতে ও কোরবানি দিতে গিয়ে দুই দিনে আহত ৬৪১
ছবি: সংগৃহীত

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। তবে সেই খুশি ম্লান হয়ে গেছে বেশ কিছু দুর্ঘটনায়। হাটে গিয়ে পশুর লাথি ও কোরবানি দিতে গিয়ে দুই দিনে আহত হয়েছেন ৬৪১ জন। এর মধ্যে জরুরি অপারেশন হয়েছে ১৮১ জনের।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৮ জুন) রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (নিটোর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ঈদের আগের দিন পশু কেনার সময় লাথিতে আহত হয়ে ও ঈদের দিন পশু কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়ে সেখানে মোট চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন ৬৪১ জন। এর মধ্যে জরুরি অপারেশন হয়েছে ১৮১ জনের।  এছাড়াও এই দুই দিনে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০৭ জন এবং হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ৪৩৪ জন।

বিজ্ঞাপন

আরও জানা গেছে, ঈদের দিনের ন্যায় ঈদের দ্বিতীয় দিনও আহত হয়ে একের পর এক মানুষ আসছেন চিকিৎসা নিতে। যার সঠিক হিসেব (সোমবার) দুপুরে পাওয়া যাবে। তবে আনুমানিক হিসেবে অনুযায়ী, আজ সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০ জন আসেন চিকিৎসা নিতে। যাদের সবাই কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হওয়া রোগী।

এ বিষয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কনসালট্যান্ট ডা. রিপন ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদের দিন পশু কোরবানি ঘিরে সারাদিনে হাত-পাত ভাঙা ও কাটা-ছেঁড়া রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৩২৫ জন। তাদের মধ্যে জরুরি অপারেশন লেগেছে ১০২ জনের। অপারেশনের পর তাদের সবাইকে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ঈদের আগের দিন পশু কিনতে গিয়ে লাথিতে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ৩১৬ জন। তাদের মধ্যে জরুরি অপারেশন লেগেছে ৭৯ জনের। আর ভর্তি হতে হয়েছে ৮৫ জনের।

বিজ্ঞাপন

ঈদের দিন যেসব রোগী এসেছেন তাদের বেশিরভাগ পশু কোরবানি করতে গিয়ে আহত হয়েছেন জানিয়ে ডা. রিপন ঘোষ বলেন, কারও হাত কেটে গেছে, কারও পা কেটে গেছে, কারও রগ কেটে গেছে। ঈদের আগের দিন যারা এসেছেন তাদের বেশিরভাগ কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে পশুর লাথিতে হাত-পা ভেঙেছে। 

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যাদের অপারেশন লাগেনি এবং গুরুতর আহত না তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।

জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রটি (নিটোর) পঙ্গু হাসপাতাল নামেও পরিচিত। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত আনসার সদস্য হাবিব বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকে একের পর এক রোগী আসছে। দুপুর পর্যন্ত অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন। দিনের বাকি সময়তো এখনও পড়েই আছে।

প্রসঙ্গত, প্রতিবছর ঈদুল আজহাতে পশু জবাই করার সময় অসাবধানবশত ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং পশুর লাথি ও শিংয়ের গুতায় বহু লোকজনের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। 

আরটিভি/আইএম

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission