images

তথ্যপ্রযুক্তি

চাঁদে আঘাত হানতে পারে ‘সিটি-কিলার’ গ্রহাণু

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫ , ১০:৪৪ এএম

২০৩২ সালের ২২ ডিসেম্বর রাতটা হতে পারে এক নজিরবিহীন মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী। বিশাল এক গ্রহাণু—‘২০২৪ ওয়াইআর৪’ নামের একটি ‘সিটি-কিলার’ অ্যাস্টেরয়েড—ধেয়ে আসছে চাঁদের দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটির চাঁদের সঙ্গে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা বর্তমানে ৪.৩ শতাংশ, যা পূর্বের ৩.৮ শতাংশ থেকে বেড়েছে।

প্রায় ২০০ ফুট চওড়া এবং ১৫ তলা ভবনের সমান আকারের এই মহাজাগতিক পাথরটি যদি সত্যিই চাঁদে আঘাত হানে, তা হবে দশকের সবচেয়ে দৃশ্যমান বিস্ফোরণ, যা সাধারণ টেলিস্কোপ দিয়েও প্রত্যক্ষ করা যাবে।

চাঁদের পৃষ্ঠে এ আঘাত হলে প্রায় এক কিলোমিটার চওড়া একটি গর্ত সৃষ্টি হতে পারে, যা একটি বৃহৎ বিস্ফোরণের ফলাফল হবে। যদিও এই আঘাতে চাঁদের কক্ষপথ পরিবর্তিত হবে না এবং পৃথিবীর ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে না, তবে কিছু মেটিওর বা ধ্বংসাবশেষ বুলেটের গতিতে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতে পারে।

নাসার বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, ধ্বংসাবশেষের কিছু অংশ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশের সময় পুড়ে গেলেও, কিছু উপগ্রহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে জিপিএস, ইন্টারনেট ও আবহাওয়া পূর্বাভাস নির্ভর প্রযুক্তি এতে ব্যাহত হতে পারে।

নাসার প্ল্যানেটারি ডিফেন্স টিম ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ও অন্যান্য দূরবীন থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে গ্রহাণুটির গতি ও কক্ষপথ নির্ধারণ করা হচ্ছে।

নাসার গবেষক মলি ওয়াসার জানিয়েছেন, এই অ্যাস্টেরয়েডটি এখন সূর্যের চারপাশে আবর্তিত হচ্ছে। যদি নিউমির নামক ইনফ্রারেড টেলিস্কোপটি আগে থেকেই সক্রিয় থাকতো, তাহলে এই গ্রহাণুটিকে এক মাস আগেই শনাক্ত করা যেত।

আরও পড়ুন
earthquake

ফোনে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা সক্রিয় করবেন যেভাবে

যদিও এটি পৃথিবীর জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি নয়, তবে এটি হতে পারে একটি যুগান্তকারী বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ এবং গ্রহ প্রতিরক্ষা কৌশল পরখ করার বিরল সুযোগ। একই সঙ্গে এটি মনে করিয়ে দেয়, মহাকাশে আমাদের অবস্থান কতটা অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ।

সূত্র: নাসা

আরটিভি/এসকে