মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫ , ০৫:০২ পিএম
মোহাম্মদ নুরুন্নবি মনা, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের যে ভবনে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটি ধ্বংস হয়, সেই ভবনের হেড পিয়ন তিনি। অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল সোমবার (২১ জুলাই) নিজ দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। ছুটির সময় তার কাজ থাকে মেইন গেটে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছে তুলে দেন তিনিই। তবে গতকাল ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে ল্যাব ক্লাস শেষ হলে ল্যাপটপ আর প্রজেক্টর রাখার জন্য কো-অর্ডিনেটর রুমে যান তিনি। আলমারিতে চাবি ঢোকানোর সময়ই বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পান মনা। সেই বিবরণ দিতে গিয়েই বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। মনা বলছিলেন অন্যদিন হলেও সবার আগে তিনি মরে যাওয়ার কথা ছিল।
তিনি বলেন, সবার আগে আমার মরার কথা ছিল। আমি এখানে ১টা ৩০ পর্যন্ত থাকি সবসময়। আল্লাহ আমারে রাখছে।
ভবনের হেড পিয়ন আরও বলেন, আমি এখানের মেইন গেটের দায়িত্বে থাকি। ছুটি হলে হ্যান্ডমাইক নিয়ে বাইরে চলে আসি। কী বলবো, বলার মতো কিছু নেই। সব গার্ডিয়ানকে আমি নিজ হাতে তুলে দিতাম বাচ্চা। আমি এখানে কাল থেকে আছি। কোনো খাওয়া দাওয়া নেই।
বিমান বিধ্বস্তের পরের ঘটনার পরের বিবরণ দিতে গিয়ে তিনি বলছিলেন, এখানে চিৎকার তো আছে, আমরা যারা দেখছি, বিকট শব্দের পর রুম থেকে আসি। তখন আগুন জলতেছে, ধোঁয়া। আমাদের দক্ষিণ পাশে কিছু শিক্ষার্থী ছিল। আমরাও ওদিকে চলে যাই। পরে সেখানের ছাত্রদের আমরা রক্ষা করি।
প্রসঙ্গত, উত্তরায় বিমানবাহিনীর যুুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, বিভিন্ন হাসপাতালে নিহতের সংখ্যা দুপুর পর্যন্ত ৩১ জন দাঁড়িয়েছে। আর আহতের সংখ্যা ১৬৫ জন।
আরটিভি/এএ/এস