বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ , ০৪:৫৪ পিএম
দেশজুড়ে বাড়ছে বজ্রপাতজনিত দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয় ঘিরে অনেকের মধ্যেই আছে নানা ভ্রান্ত ধারণা। অনেকেই মনে করেন, ঘরের ভেতরে থাকলেই বজ্রপাতের সময় পুরোপুরি নিরাপদ থাকা যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি এতটা সরল নয়।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, বজ্রপাতের সময় ঘরের মধ্যে থাকলেও পানির সংস্পর্শে থাকা কার্যক্রম যেমন গোসল, থালা-বাসন ধোয়া, রান্না ইত্যাদি প্রাণঘাতী হতে পারে। এর কারণ হলো, বজ্রপাত যদি কোনো ভবনে আঘাত করে, তাহলে সেই বিদ্যুৎ ধাতব পাইপ বা ইলেকট্রিক লাইন বেয়ে পানির লাইনে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি আধুনিক প্লাস্টিক পাইপ ব্যবহৃত হলেও, নিকটবর্তী বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলে ঝুঁকি একেবারে এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
বজ্রপাতের সময় এড়িয়ে চলুন যেসব কাজ:
. গোসল করা ও বাথটাবে থাকা
. থালা-বাসন ধোয়া ও রান্নার কাজ করা
. টিভি, কম্পিউটার বা চার্জে থাকা যন্ত্র ব্যবহার
. তারযুক্ত (ল্যান্ড) ফোন ব্যবহার
. জানালা বা দরজার পাশে দাঁড়ানো
. গাছের নিচে দাঁড়ানো বা কংক্রিট দেয়ালে হেলান দেওয়া
. পুকুর, নদী বা সমুদ্রের পাশে অবস্থান করা
নিরাপদ থাকতে যা করবেন:
. ঝড় শুরু হলে দ্রুত ঘরের ভেতরে আশ্রয় নিন
. ঘরে না থাকলে গাড়িতে আশ্রয় নিতে পারেন, জানালা-দরজা বন্ধ রাখুন
. শেষ বজ্রপাতের শব্দ শোনার কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর পর্যন্ত ঘরে অবস্থান করুন
. বাইরে থাকলে ধাতব বস্তু বা গাছ থেকে দূরে সরে যান
. নিরাপদ জায়গা না পেলে, পায়ের পাতাকে একসঙ্গে রেখে, কান ঢেকে, মাথা নিচু করে বলের মতো বসে থাকুন
বজ্রপাতে কেউ আক্রান্ত হলে করণীয়:
. আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনুন
. দ্রুত চিকিৎসা সহায়তার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন
. যদি ব্যক্তি নিঃশ্বাস না নেয় বা হার্টবিট না থাকে, তবে সিপিআর (CPR) শুরু করুন এবং চিকিৎসক আসা পর্যন্ত চালিয়ে যান
বিশেষজ্ঞদের মতে, বজ্রপাতের সময় সচেতনতা ও প্রাথমিক প্রস্তুতি থাকলে অধিকাংশ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। প্রকৃতির এই বিপদের মুখে ভয় নয়, চাই সতর্কতা ও সঠিক তথ্য।
আরটিভি/এসকে