images

আফ্রিকা

কঙ্গোর গির্জায় আইএস-সমর্থিত গোষ্ঠীর হামলায় নিহত অন্তত ৩৮

সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫ , ০৮:২১ পিএম

গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর একটি গির্জায় বিদ্রোহীদের হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহতের তথ্য জানিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটির সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে বার্তাসংস্থা এপি। তবে স্থানীয় অনেক গণমাধ্যমে ৪০ জন নিহতের সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ-সমর্থিত একটি রেডিও স্টেশন জানিয়েছে, ৪৩ জন নিহত হয়েছেন।

রোববার দিবাগত রাতে অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এডিএফ) এর সদস্যরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। রাত ১টার দিকে ইতুরি প্রদেশের কোমান্ডা শহরের গির্জা প্রাঙ্গণে বিদ্রোহীরা ধারালো অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। এসময় বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

কোমান্ডা নগর প্রশাসনের কর্মকর্তা জিন কাটো বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, গির্জায় হামলার সময় উপাসকরা রাতের প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছিলেন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানবাধিকার কর্মী ক্রিস্টোফ মুনিয়ান্দেরু রয়টার্সকে বলেছেন, রাতভর গুলির শব্দ শোনা গেলেও শহরের বাসিন্দারা শুরুতে ভেবেছিলেন কোথাও চুরির ঘটনা ঘটছে। অনলাইনে শেয়ার করা হামলা-পরবর্তী ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজে গির্জার মেঝেতে জ্বলন্ত কাঠামো এবং মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। 

জাতিসংঘ-সমর্থিত রেডিও স্টেশন নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, হামলাকারীরা কোমান্ডা শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরের একটি ঘাঁটি থেকে হামলা চালায় এবং নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যায়। পূর্ব কঙ্গোতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এডিএফ এবং রুয়ান্ডা-সমর্থিত বিদ্রোহীসহ সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একের পর এক হামলা ও আক্রমণের ঘটনা ঘটছে। এডিএফ উগান্ডা এবং কঙ্গোর সীমান্তে সক্রিয় এবং প্রায়ই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। জুলাই মাসের শুরুতেই ইতুরি শহরে হামলা চালিয়ে অনেক মানুষকে হত্যা করেছে গোষ্ঠীটি।

কোমান্ডা শহরের সিভিল সোসাইটি সমন্বয়ক ডিউডোনে ডুরান্থাবো বলেছেন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সামরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি, কারণ আমাদের বলা হয়েছে যে শত্রুরা এখনও আমাদের শহরের কাছেই অবস্থান করছে। ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে উগান্ডায় প্রেসিডেন্ট ইয়োভেরি মুসেভেনির প্রতি অসন্তোষের অভিযোগে বিভিন্ন ছোট ছোট গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে এডিএফ গঠন করে। ২০০২ সালে উগান্ডার সামরিক বাহিনীর আক্রমণের পর গোষ্ঠীটি প্রতিবেশী দেশ কঙ্গোতে তাদের কার্যক্রম সরিয়ে নেয়। তখন থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিকের হত্যার জন্য দায়ী করে আসা হচ্ছে গোষ্ঠীটিকে। ২০১৯ সালে এডিএফ সন্ত্রাসী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে।

তাদের দাবি দীর্ঘদিন ধরে এডিএফের বিরুদ্ধে লড়াই করছে গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর সশস্ত্র বাহিনী। কিন্তু এখন আরেক প্রতিবেশী দেশ রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম-২৩ গোষ্ঠীর হামলারও মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশটির সামরিক বাহিনীকে।

আরটিভি/এএইচ